খুবিতে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেছেন উপকূলীয় এলাকায় কৃষি ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা লোনা পানি ও লোনা মাটি। নতুন প্রযুক্তি ও উন্নত মাটি ও ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই লবণাক্ততার প্রভাব হ্রাস করতে পারলে উপকূলীয় এলাকার ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে আশাব্যঞ্জক সাফল্য আসতে পারে।
তিনি এ ক্ষেত্রে ইলেক্ট্রোমেগনেটিক ইন্ডাকশন ডিভাইসের ব্যবহার উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকার কৃষিতে নতুন দিগন্ত উম্মোচন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে খুলনার রূপসাস্থ সিএসএস আভা সেন্টারে আয়োজিত ‘ইলেক্ট্রোমেগনেটিক ইন্ডাকশন ফর সয়েল স্যালাইনিটি ইনভেস্টিগেশন’ শীর্ষক তিনদিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন।
উপাচার্য লবনাক্ততার প্রভাব হ্্রাসের বিষয়টি নিয়ে গবেষণার জন্য গবেষকদের প্রশংসা করেন এবং এই নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফল কৃষকদের মাঝে দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার তাগিত দেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর এ কে ফজলুল হক। প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যক্ত করে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প প্রধান ড. মোহাম্মদ মইনুদ্দিন।
ত্রিদেশীয় এ গবেষণা প্রকল্পের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশের মূখ্য গবেষক প্রফেসর ড. মোঃ এনামুল কবীর ও সহ-গবেষক হিসেবে কাজ করছেন একই ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক বিধান চন্দ্র সরকার। এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনরে উদ্যোগে তিনদিনের এ কর্মশালায় অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং বাংলাদেশের কয়েকটি কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক- গবেষকসহ ৩৭জন অংশ নিচ্ছেন।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই ইলেক্ট্রোমেগনেটিক ইন্ডাকশন যন্ত্রটির মাধ্যমে মাটির লবণাক্ততা নির্ণয়ের কৌশল খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে প্রথম ব্যবহার করা হচ্ছে। মাটির ১.৮ মিটার গভীর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকার মাটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্ক্যান করে মাটির লবণাক্ততা নিরুপণ ও ম্যাপিং করতে সক্ষম। এর ফলে উপকূলীয় অঞ্চলের লবণাক্ত মাটিতে বিশেষ করে রবি ও খরিপ-১ মৌসুমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে এই প্রযুক্তি যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশাবাদ করা হয়। গবেষণা প্রকল্পটি বাংলাদেশের খুলনার দাকোপ, বরগুণার আমতলী ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণা এলাকায় পরিচালিত হচ্ছে। এই যৌথ গবেষণা প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করছে অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্স ও বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন।