কুবি শিক্ষক সমিতি’র নির্বাচন কমিশনকে হাইকোর্টের লিগ্যাল নোটিশ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি’র নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশন বরাবর হাইকোর্ট থেকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন এবং ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী’র পক্ষে নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ওয়ায়েস আল-হারুনি । প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আইনুল হক, নির্বাচন কমিশনার হুমায়ুন কায়সার এবং নির্বাচন কমিশনার মোঃ সাহেদুর রহমানের নাম উল্লেখ করে চিঠিটি পাঠানো হয়। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, কুবি উপাচার্য এবং কুবি রেজিস্ট্রার বরাবর এর অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি’র ২০১৮ সালের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশন ২ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে । তফসিলে বলা হয়, ৩ জানুয়ারি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা এবং ৪ জানুয়ারি ফাইনাল ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়,কিন্তু উক্ত ভোটার তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন এবং ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী কে অবৈধ এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি ।
নোটিশে আরো বলা হয়, চিঠি পাওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা না হলে আমার উপরোক্ত মোয়াক্কেল কর্তৃক আপনাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । যার দায়-দায়িত্ব আপনাদের উপর বর্তাবে ।
Post MIddle
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের জন্য গঠিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আইনুল হক বলেন, ‘আমরা নোটিশ হাতে পেয়েছি এবং যথাসময়ে চিঠির জবাব দেওয়া হবে । ভোটার তালিকায় কেন ওই দু’জন শিক্ষকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি’র সভায় ওই দুইজন শিক্ষকের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে বিধায় তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ।’
ভুক্তভোগী শিক্ষকদের মধ্য থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাদের কে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে যাতে আমরা ভোট অথবা নির্বাচন করতে না পারি তাই আমরা বাধ্য হয়ে আইনী আশ্রয় নিয়েছি ।’
নোটিশের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আইনজীবী ব্যারিস্টার ওয়ায়েস আল-হারুনি বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশন যদি চিঠি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব না দেয় তাহলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।’
//স
পছন্দের আরো পোস্ট