গাজরেই মুক্তি, গাজরেই শক্তি

গাজর হল বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত সবজী। কারন গাজর খুব সহজেই উৎপাদন করা সম্ভব। রন্ধন শিল্পে এর বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে।  বাজারে নানা রঙের গাজর পাওয়া যায়। তার মধ্যে কমলা, বেগুনি, সাদা, হলুদ, লাল রঙই প্রধান। গাজরের নানা গুনাগুন নিচে দেওয়া হল। আশা করি এ আর্টিকেল পড়ার পরপরই আপনারা গাজর কিনতে বাজারে যাবেন।

চর্বি কমাতে

উলসন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইন ল্যাবরেটরি এর গবেষকরা গবেষনা করে বের করেন যে, যদি কেউ ৭ আউন্স পরিমান গাজর তিন সপ্তাহ ভক্ষণ করতে পারলে, তার কোলেস্টেরল লেভেল ১১ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে।

চোখের প্রয়োজনে

দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে বহু ভিটামিনে ভরপুর গাজর। গাজরে থাকা ভিটামিন এ এবং উপকারী বিটা ক্যারোটিন চোখের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ছানি পড়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে

গাজরে থাকে প্যানথোথেনিক এসিড, ভিটামিন বি-৮, ফোলেট, পটাসিয়াম যা শরীর থেকে সব ধরনের টক্সিক উপাদান বের করে দিয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

Post MIddle

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গাজরের জুড়ি নেই। গাজরে থাকা ভিটামিন বিভিন্ন সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়। বিশেষ করে, শীতকালে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশেই কমিয়ে দেয় এই উপকারী সবজিটি।

হার্ট ভাল রাখতে

১০০ গ্রাম গাজর থাকে দিনের চাহিদার প্রায় ৩৩ শতাংশ ভিটামিন এ, ৯ শতাংশ ভিটামিন সি এবং ৫ শতাংশ বি৬। সেই সঙ্গে থাকে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই সবকটি উপাদান হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ইটালির বিখ্যাত মারিও নাগরি ফার্মাকোলজিকাল ইনস্টিটিউট গবেষনা করে বের করেছে যে, গাজর বেশি পরিমানে খেলে তার হার্ট অ্যাটার্ক হওয়ার সম্ভাবনা এক তৃতীয়াংশ হ্রাস পায় যে গাজর অল্প খায় তার চেয়ে।

ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে

শীতকাল মানেই খসখসে ত্বক। এ সময় নিয়মিত গাজর খেলে ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত থাকে। গাজরে থাকা একাধিক ভিটামিন এবং মিনারেল ত্বকের রুক্ষতা ও বলিরেখা দূর করতে কার্যকর।

তথ্য: অর্গানিক ফেক্ট

//শ

পছন্দের আরো পোস্ট