বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের কালজয়ী ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চ-এর ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে ‘বিশ্ব প্রামান্য ঐতিহ্যের’ স্বীকৃতি অর্জনের পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নির্দেশনার আলোকে আজ ২৫ নভেম্বর ২০১৭ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মহাসমারোহে একটি ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ অনুষ্ঠিত হয়। এ আনন্দ শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

উপাচার্য তাঁর ভাষণে মহাকালের মহানায়ক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি রাজনীতির মহাকবি মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চারনেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশলক্ষ শহীদ এবং ‘৭৫এর ১৫ আগস্ট বর্বর হায়েনাদের হাতে নির্মমভাবে শহীদ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের বিনম্র চিত্তে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি বাঙালির স্বাধণতা অর্জনের পথে মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম ত্যাগ, দূরদর্শী নেতৃত্ব সর্বোপরি মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি এবং এ ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য আলোকপাত করে বলেন, এ কালজয়ী ঐতিহাসিক ভাষণ তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের জ্ঞানদীপ্ত প্রজ্ঞার ফসল এবং বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণ। এ মহান নেতার ঐতিহাসিক ভাষণ শুধুমাত্র বাঙালি জাতির জন্য নয়, বিশ্বের জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে নিপীড়িত-নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর স্বাধীনতা অর্জনের পথে এক যুগান্তকারী দিক নির্দেশনার মাইলফলক। উপাচার্য এ আনন্দ-গৌরবকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে বঙ্গবন্ধু তনয়া আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে দৃশ্যমান ভূমিকা রাখার আহবান জানান।

Post MIddle

আনন্দ র‌্যালিতে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, ডিনবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, অফিসার সমিতি-কর্মচারী সমিতি-কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ নেতৃবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মাননীয় উপ-উপাচার্য তাঁর ধন্যবাদ সূচক ভাষণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, মহান নেতার এই ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্ব ইতিহাসে এক অমর কাব্য। উপ-উপাচার্য এ অমর কাব্যের নির্যাস হৃদয়ে ধারণ করে প্রতিটি বাঙালিকে দেশ সেবায় ব্রতী হওয়ার আহবান জানান।

পছন্দের আরো পোস্ট