শূন্যতায় গণিত

গণিত এক আতঙ্কের নাম,আর যেখানে জ্যামিতি; সেখানেতো কোন কথায় না।সেখানে আর যেই থাকুক,আমি নেই -এমনটি ভাবছেন, তাই না ? আসুন,গণিতকে একটু ভালোবাসি কিছু সময়ের জন্য হলেও । আমরা জানি,গণিতের প্রাণ হল জ্যামিতি আর জ্যামিতির প্রান হল বিন্দু । এখন দেখা যাক,একটি বিন্দু দিয়ে জ্যামিতিকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব কিনা? সাদা বা শূন্য একটা কাগজের ছোট একটি বিন্দুর সাপেক্ষে তৈরি হয় বৃত্ত , রেখা । রেখার সাপেক্ষে হয় ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ , ট্রাফিজিয়াম,রম্বস , কিংবা সামান্তরিক । কি জানিতো ? তাহলে বলতে পারি, ছোট একটি বিন্দুকে ঘিরেই হয় জ্যামিতি । অথচ বিন্দুর সম্পদ বলতে জানি , শুধু তার ভুজ আর কোটি । অন্যদিকে জ্যামিতিকে ঘিরেই হয় ত্রিকোণমিতি ।

আবার ত্রিকোণমিতি ক্যালকুলাস ও বলবিদ্যার অন্যতম স্তম্ভ । ক্যালকুলাস আর বলবিদ্যা পদার্থবিদ্যার আবার প্রাণ । যখন অসীম নিয়ে ভাবা হয়, তখন বিপরীতক্রমে যে ভাবনাটি আসে তা হল শূন্যতা । এখন বিষয় হল , আসলেই কি শূন্যতা বলতে কিছু আছে ?

Post MIddle

খাবার প্লেটে ভাত নিয়ে প্রশ্ন করুন নিজের কাছে ? প্লেটে কি কিছু আছে ? ভাত, শুধুই ভাত। আবার ভাত সরিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করুন। এবার উত্তর হবে শূন্য প্লেট । এবার ভাবুন তো ,প্লেটটি কি শূন্য না ভাত নেয় বলে শূন্য অর্থাৎ প্লেটটি ভাতের সাপেক্ষে শূন্য। আসলেই তো ? তাহলে শূন্যতাটা কি?

এখন কি তাহলে শূন্যতা আর অসীমের ভীড়ে আমরা ঘুরছি ? সত্যি বলতে শূন্যতা ও হয় কোন না কোন কিছুর সাপেক্ষে । আর যদি কোন কিছুর সাপেক্ষে শূন্যতাকে ধরা হয় , তাহলে কিন্তু বলা যায় ,ওখানে কিন্তু একটা বস্তু ছিল, যাকে প্রসঙ্গ করে শূন্যতা ধরা হয় । কিন্তু মহাবিশ্ব সৃষ্টির আগে কোন কিছুর সাপেক্ষে ধরার কিছু ছিলো না । তাহলে সিঙ্গুলারিটি কিসের সাপেক্ষে ধরা হয়, তাহলে এটি একটি প্যারাডক্স ।গনিতের শূন্য উপস্থিত থাকলে ও শূন্যকে কেবল কোণ কিছুর সাপেক্ষে অনুপস্থিত হিসাবে বিবেচনা করা হয় ।

আর এই মানহীন শূন্য আমাদের জীবনের মাপকাঠি । আমরা যা ভাবি আর যা করি তা সব শূন্যর সাপেক্ষে ।আমাদের জীবনও শূন্যর সাপেক্ষে মর্মাহত। শূন্য থেকেই যেহেতু জীবনের শূন্যতা ,তাহলে শূন্যতায় হোক জীবনের পরিপূণতা ।

পছন্দের আরো পোস্ট