প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করেই মাভাবিপ্রবি ক্যাফেটেরিয়া চলছে

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের মূল্য অতিরিক্ত নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের দোকানগুলোর মূল্য তালিকার সাথে তুলনা করলে ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মূল্য অনেক বেশি। এ কারনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া বাদ দিয়ে বাইরের দোকানগুলোতে খেতে বেশি সাচ্ছন্দ্য বোধ করে।

পরিচালক পক্ষের দাবি ক্যাফেটেরিয়ায় বিশ্ববিদ্যালযের পক্ষ থেকে কোন ভূতুকি দেয়া হয় না কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবি গ্যাস, পানি, বিদ্যূৎ, আসবাবপত্র ও রান্নার জিনিসপত্র সবকিছু বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই দেয়া হয়েছে তবুও বাইরের দোকানগুলোর তুলনায় দাম বেশি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপে ক্যাফেটেরিয়া নিয়ে অনেক বাজে মন্তব্য দেখা যায়। মন্তব্যে বলা হয়, ক্যাফেটিরয়ার স্টাফগুলো বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন বিভাগের ৩য় বর্ষ ১ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ওয়াখিল ভুইয়া বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও বাইরের তুলনায় আমাদের ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের মূল্য অনেক বেশি রাখা হয়। বাইরের ক্রেতা আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তুলে দিয়ে তাদের বসতে দেয়া হয়। আমার দাবি ক্যাফেটেরিয়ার মূল্যের দিকে এবং মালিক পক্ষের অনিয়মের দিকে প্রশাসন যেন নজর দেয়।

Post MIddle

ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মাসুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত মূল্যেই আমি দাম নেই। খাবারের মান সম্পর্কে বলেন জিনিসপত্রের দাম বেশি।

এছাড়াও ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মাসুদের বিরুদ্ধে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের ১৭০০ জনের জন্য দেয়া খাবারের বাজেটে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার অনিয়ম সম্পর্কে ঔ সময়ে দায়িত্বরত বাবুর্চি ওবায়েদুর অভিযোগ করে বলেন, ক্যাফেটেরিয়া মালিক মাসুদ আমাকে দিয়ে দুইবার জোর করে খাবারের বাজেট করিয়ে নেয়। যেখানে খাবারের বাজেটে ২৪০ কেজি চালের যায়গায় দরকার হয় ২০০ কেজি, গরুর মাংস ২৪০ কেজির যায়গায় ২০০ কেজি, সয়াবিন ৮০ কেজির যায়গায় ৪৬ কেজি এবং অন্যান্য রান্নায় ব্যবহার্য জিনিসপত্র অর্ধেক ব্যবহার হয়। অবশিষ্ট অংশ দিয়ে সে ১৫ দিন তার ক্যাফেটেরিয়া চালায়। ঘটনা প্রকাশ করতে চাইলে সে আমাকে ভয় দেখায় এবং আমাকে কাজ থেকে বের করে দেয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মাসুদ সম্পর্কে আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ আছে। তাকে কোন কিছু বললে কথা শোনেন না। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যব¯থা গ্রহনের চেষ্টা করছি।

পছন্দের আরো পোস্ট