চবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য মন্দির

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর সাথে গতকাল (৪ অক্টোবর) উপাচার্যের অফিস কক্ষে অদুল-অনিতা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম বোয়ালখালীর কৃতি সন্তান অদুল কান্তি চৌধুরী সৌজন্য সাক্ষাত করেন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য বরাদ্দকৃত জমিতে একটি মন্দির ও বৈদিক পাঠগার নির্মাণের ব্যাপারে মতবিনিময় করেন। এ সময় চ.বি. ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শংকর লাল সাহা, চ.বি. সনাতন ধর্ম পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. তাপসী ঘোষ রায় ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. সজীব কুমার ঘোষ, রসায়ন বিভাগের প্রফেসর বেনু কুমার দে, পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুজন দে উপস্থিত ছিলেন।

Post MIddle

উপাচার্য অদুল-অনিতা ফাইন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব অদুল কান্তি চৌধুরীকে বিশ্ববিদ্যালয় সবুজ ক্যাম্পাসে আন্তরিক অভিনন্দন ও স্বাগত জানান। তিনি উক্ত ফাইন্ডেশনের কর্ণধার অদুল কান্তি চৌধুরী কর্তৃক এ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য মন্দির ও পাঠাগার নির্মাণের ঘোষণা দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পক্ষ থেকে তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ট নেতৃত্বে ‘৭১ এ এদেশের মানুষ একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা করেছেন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সফল বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু তনয়া ‘মাদার অব হিউমিনিটি’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল। এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অধিকতর সুদৃঢ় করতে হবে, জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে হবে। সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ এ দেশে তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের অধিকার ভোগ করবে এটাই প্রত্যাশিত। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি এবং সকল ধর্ম-বর্ণের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী তাঁদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান স্বাধীনভাবে পালনের যে মনোরম পরিবেশ বিরাজমান তা অক্ষুন্ন রাখতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য মন্দির ও পাঠাগার নির্মাণের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

পছন্দের আরো পোস্ট