দূর্ভোগে বেরোবির আবাসিক শিক্ষার্থীরা

প্রতিষ্ঠার নয় বছরেও পর্যাপ্ত আবাসিক সুবিধা দিতে না পারলেও ছেলেদের জন্য দুটি এবং মেয়েদের জন্য একটি হল চালু করতে পেরেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)। কিন্তু এতে কোন ধরণের সুবিধা পাচ্ছেন না আবাসিক শিক্ষার্থীরা। ফলে বিভিন্ন সমস্যায় চরম দূর্ভোগে তারা। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনকে দায়ী করছেন ভুক্তভোগিরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ছেলেদের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শহীদ মুখতার এলাহী অপরদিকে মেয়েদের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা তো দুরের কথা এখানে সাধারণ সুযোগ-সুবিধাও নাই। পড়ার জন্য নেই রিডিং রুমের সুব্যবস্থা। হল প্রভোস্টদের বসার একটি কক্ষকে বানানো হয়েছে রিডিং রুম। নেই বিশুদ্ধ পানির সুব্যবসস্থাও। এমনকি হলগুলোতে কোন ভুর্তকিও দেয়া হয় না। ফলে খাবারের নিম্ন মান। অপরদিকে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলাকে নিয়ন্ত্রণেও প্রভোস্টরা চরম উদাসীনতার পরিচয় দেওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিপাকে। অনেকেই হল ছেড়ে দিচ্ছেন।

শহীদ মুখতার এলাহী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো: রমজান হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে যে সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয় তার তুলনায় আমাদের এখানে কিছুই দেয়া হয়না। বিশেষ করে খাবারে ভর্তুকি দেয়া,ফ্রি ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের ব্যবস্থা করাসহ আমাদের মাসিক ভাড়া কমানোর জন্যও মাননীয় উপাচার্যের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

ফজিলাতুন্নেছা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রুমাইয়া সুমি অভিযোগ করে বলেন, গত রমজান মাসের ইফতার মাহফিলে মাননীয় উপাচার্য ভর্তুকি দেয়ার কথা বললেও এখনো তার কোনো বাস্তবে প্রতিফলন দেখছি না।তাছাড়াও হলের রিডিং রুমের অবস্থা যেন কুঁড়ে ঘরের মতো।আমি আশা করি উপাচার্য মহোদয় অতি শীঘ্রই এ ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিবেন।’

Post MIddle

অপরদিকে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ‘হলে বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতকরা ৫০ ভাগেরও কম। হলে সীট বাণিজ্যের লাগাম ছাড়িয়ে যাওয়ায় বৈধরা হল ছেড়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে প্রভোস্টরা চরম অদক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন।’

তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো অভিযোগ করেন, ‘ শুরুতেই প্রভোস্টদের একটু দেখা গেলেও এখন মাসেও দুয়েকজন হলে আসেন কি না সন্দেহ আছে। হলে কোন বিশৃঙ্খলা হলে তারা আসেন সবার শেষে।’

বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখ বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সাত দফা দাবি উপাচার্য বরাবর প্রেরণ করেছি। এছাড়াও আমি আমার নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে সবার সাথে আলোচনা করে খাবারের মান আগের থেকে ভালো করতে সামর্থ হয়েছি।’

এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট কমলেশ চন্দ্র রায় বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক বাবুর্চি নিয়োগ না দেয়ার কারণে আমাদের হল প্রশাসন হলের আয় থেকেই তাঁদের মাসিক বেতন দেয়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ (বিটিএফও) বলেন, ‘ নবীন এ বিশ্ববিদ্যালটি অনেক সমস্যায় জর্জরিত। আমি এ সমস্যাগুলোর সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করছি। হলের যে সমস্যা আছে তা দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা করছি।

পছন্দের আরো পোস্ট