নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী বহিষ্কারের জেরে পরীক্ষা বর্জন ও অবস্থান ধর্মঘট

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(নোবিপ্রবি) ফার্মেসী বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের এক শিক্ষার্থীকে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে । জানা যায় ,গত ২১ শে মে (রবিবার) বিকাল বেলার পরীক্ষায় আইরিন আক্তার নামের ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষার উত্তরপত্র পরীক্ষার হলে জমা না দিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রের বাইরে নিয়ে যাওয়ার কারনে এ বহিষ্কার করা হয়েছে ।

এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উক্ত বিভাগের সংশ্লিষ্ট ব্যাচের  সকল শিক্ষার্থী আজকের পরীক্ষা বর্জন করে বিভাগের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন । শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন , ভুলক্রমে সে প্রশ্নের সাথে উত্তরপত্র ব্যাগে করে বাসার উদ্দেশ্যে চলে যায় । পরে  উক্ত পরীক্ষার দিন পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা জানান যে যত দ্রুত সম্ভব  উত্তরপত্র জমা দিয়ে যেতে এবং এ সম্পর্কে কাউকে কিছু না বলতে ।পরবর্তীতে কোন সমস্যা হবেনা বলেও তাঁরা আশ্বস্ত করেন ।

Post MIddle

সে অনুসারে ওই শিক্ষার্থী উত্তরপত্র জমা দিয়ে যান এবং পরবর্তীতে  ২৫ তারিখের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন । কিন্ত ৩১ তারিখের পরীক্ষা দিতে এসে দেখেন তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে । শিক্ষার্থীরা আরো অভিযোগ করে বলেন , মিথ্যা আশ্বাস না দিয়ে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকবৃন্দরা আগেই কেন শাস্তির কথাটি বলেননি । একাডেমিক পড়াশুনায় উক্ত শিক্ষার্থী ভালো তবে কিছুদিন ধরে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত থাকায় এমন টা হয়েছে বলেও উক্ত শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা জানান ।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জানান, ২৯ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত বহিষ্কারের আদেশ দেয়া হলেও এর আগে যেকোনো ব্যাপারে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয় ।  কিন্ত তিনি কারন দর্শানোর নোটিশ পান ৩১ তারিখে । ২৮ তারিখে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক স্বাক্ষরিত নোটিশটি ৩১ তারিখ তিনি গ্রহণ করেন । উক্ত নোটিশে ৪ জুনের মধ্যে পরীক্ষানিয়ন্ত্রক বরাবর লিখিত জবাব দিতে বলা হয় । তিনি আরো বলেন, “আমার লিখিত বক্তব্য ছাড়াই আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাও আগে বহিষ্কার করে পরে আমাকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে” ।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিভাগের প্রধান এবং মাননীয় উপাচার্য ড. এম অহিদুজ্জামান বলেন,  “পরীক্ষায় অসুদুপায়ের ক্ষেত্রে বরাবরই আমি জিরো টলারেন্স । তাৎক্ষণিক আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি । তবে একটি শিক্ষার্থী কীভাবে শিক্ষকদের অগোচরে কেন্দ্র থেকে উত্তরপত্র বাইরে নিয়ে যায় সে বিষয় খতিয়ে দেখা হবে । তারপর শাস্তি পূনর্বিবেচনা করা হবে” । তিনি উক্ত শিক্ষার্থীকে উপাচার্য বরাবর লিখিতভাবে আবেদন করতেও বলেন ।

পছন্দের আরো পোস্ট