পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর আর পবিত্র ও প্রিয় শব্দ‘মা’

‘মা’ ছোট্ট একটা শব্দ, কিন্তু বিশাল তার পরিধি! সৃষ্টির সেই আদিলগ্ন থেকে মধুর এই শব্দটা আমাদের প্রিয় শব্দময় এস্থান। মায়ের অনুগ্রহ ছাড়া কোনো প্রাণীরই জম্ম ধারণ করা সম্ভব নয়। তিনি আমাদের গর্ভধারিণী, তিনি আমাদের মমতাময়ী জননী। জন্মদাত্রী হিসেবে সবার জীবনে মায়ের স্থান সবার ওপরে। কোনো উপমা, অনুপ্রাস-সংজ্ঞায় ভাষার বৃত্ত মায়ের ভালোবাসার পরিধি আকার আয়তন গভীরতাকে ছুঁতে পারেনি।

মা উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে হৃদয়ে অতল গহিনে যে আবেগ ও অনুভূতি রচিত হয়, তাতে অনাবিল সুখের প্রশান্তি নেমে আসে। একজন মা তার আপন সন্তানকে পৃথিবীতে চলার যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলেন, মায়ের ভালবাসার মধ্য একজন অার্দশ সন্তান আমরা দের মানব সেবায় তেকে শুরু করে বিশ্বজয় করতে পারি। এর ফিছনের অধিকার আমাদের প্রিয় মা। মা ছাড়া আমাদের জীবন অনেক সময় অছল হয়ে পড়েন, কারণ মা আমাদের জীবনে অনেক সাহস যোগান। মায়ের ভালবাসায় আমাদের চলার পথ অনেক সুন্দরতম হয়।

Post MIddle

আমাদের সবার মাকে বিশেষভাবে স্বরণ করার একটি বিশেষ দিনের হয়তো আমাদের প্রয়োজন । কারণ সেই আমাদের প্রিয় মধুর ভালবাসার ভাল লাগার এক মাত্র মা, তার ১০ মাস ১০ দিন কষ্টহীন দিনার জন্য আমাদের পৃথিবী দেখার এক মাত্র সুযোগ হয়েছিল বলে আমাদের মা আমাদের এক মাত্র আপননিবাস।

আজ সারাবিশ্বে মে মাসের দ্বিতীয় রোববারটিকে ‘মা দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। এর সূত্রপাত হয় ১৯১৪ সালের ৮ মে থেকে মা দিবস পালিত হয়। সঙ্গে উপহার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সাদা কার্নেশন ফুল। সমীক্ষা বলছে, বছরের আর পাঁচটা দিনের তুলনায় এদিন অনেক বেশি মানুষ নিজের মাকে ফোন করেন, তার জন্য ফুল কেনেন, উপহার দেন। অথচ মা যে সন্তানের মুখে শুধু ‘মা’ ডাক শুনতে পেলেই জীবনের পরম উপহারটি পেয়ে যান!জীবনের চরম সংকটকালে পরম সান্ত¡নার স্থল হিসেবে যার কথা প্রথমে মনে পড়ে, তিনি মমতাময়ী মা। এই মা-ই প্রথম পৃথিবীর রং-রূপ, শব্দ-গন্ধ চেনান-দেখান-শেখান। ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে, ‘মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত’।

আব্রাহাম লিংকন মাকে স্মরণে এনে বলেছিলেন, ‘আমি যা কিছু পেয়েছি, যা কিছু হয়েছি অথবা যা হতে আশা করি, তার জন্য আমি আমার মায়ের কাছে ঋণী।’ ইংরেজ কবি রবার্ট ব্রাউনিং বলেছেন, ‘মাতৃত্বেই সব মায়া-মমতা ও ভালোবাসার শুরু এবং শেষ।’নানা সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রথম মা দিবস উদ্যাপন শুরু হয় গ্রিসে। গ্রিকরা তাদের মাতা-দেবি ‘রেয়া’র নামে পূজা করত। ১৯১৩ সালে অ্যামেরিকান কংগ্রেস মা দিবসকে সরকারিভাবে পালনের অনুমতি দেয়। তারপর থেকেই বিভিন্ন দেশে মা দিবস উদ্যাপন শুরু হয়। প্রতি বছরের মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বাংলাদেশে মা দিবস পালিত হয়। এর মূল উদ্দেশ্য, মাকে যথাযথ সম্মান দেওয়া, ভালোবাসা। দিনটি উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বিভিন্ন সংগঠন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুক এরই মধ্য মাকে ভালোবাসা জানিয়েছেন বহু মানুষ।বিশ্বের অনেক দেশে কেক কেটে মা দিবস উদযাপন করা হয়। আজ বিশ্বরে সকল মায়ের প্রতি রইল অনেক অনেক ভালবাসা।

পছন্দের আরো পোস্ট