চবিতে সুনীল অর্থনীতি রূপরেখা বাস্তবায়নে মত বিনিময়

আজ (৯ মে ২০১৭) মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর সাথে তাঁর অফিস কক্ষে যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের রিডার Dr.Pierre Failler এবং বাংলাদেশ সরকারের মিনিস্ট্রি অব ফরেন এ্যাফেয়ার্স-এর ফিশারিজ এন্ড এ্যাকুয়াকালাচার বিশেষজ্ঞ ইইউ-বিজিডি জয়েন্ট কলাবোরেশন অন ব্লু ইকোনোমি ড. এম. গোলাম হোসেইন সৌজন্য সাক্ষাত করেন এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকারের সুনীল অর্থনীতি রূপরেখা বাস্তবায়নের ব্যাপারে এক মত বিনিময় সভায় মিলিত হন।

এ সময় চ.বি. রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল হুদা, চ.বি. মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান চৌধুরী, উক্ত ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. মো. এম মারুফ হোসেন, প্রফেসর ড. মো. শাহাদাত হোসেন, প্রফেসর ড. শেখ আফতাব উদ্দীন, সহযোগী অধ্যাপক ড. এস.এম. শরীফুজ্জামান এবং প্রভাষক মোহাম্মদ শাহেনেওয়াজ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

Post MIddle

উপাচার্য অতিথিবৃন্দকে সবুজ পাহাড়ে ঘেরা জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিন্দ্য সুন্দর ক্যাম্পাসে স্বাগত জানান। তিনি বর্তমান শিক্ষা ও পরিবেশবান্ধব সরকারের সুনীল অর্থনীতি কর্মসূচির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন। মাননীয় উপাচার্য এ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ পর্যালোচনা করে শিক্ষা-গবেষণা, ক্যারিকুলাম উন্নয়ন, সমুদ্র সম্পদ আহরণ এবং সার্বিক পরিবেশ সুরক্ষায় টেকসই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সাথে শিক্ষা বিনিময়, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম আয়োজন এবং যৌথ গবেষণা কর্মকান্ড পরিচালনার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।

বিশেষজ্ঞ অতিথিবৃন্দ মাননীয় উপাচার্যের দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্যে অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এ সকল কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্র“তি ব্যক্ত করেন। মাননীয় উপাচার্য অত্যন্ত আশাবাদী ও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশে সুনীল অর্থনীতি (ব্লু ইকোনোমি) কর্মসূচি বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ ইনস্টিটিউট হবে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’। উল্লেখ্য, পূর্বাহ্নে বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিবৃন্দ উল্লেখিত বিষয়ে উক্ত ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-গবেষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে মত বিনিময় করেন।

পছন্দের আরো পোস্ট