সাঙ্গরাই উৎসবে বান্দরবানে

বছরের শেষ ২ দিন চৈত্র সংক্রান্তির উৎসব। এর সাথে নতুন বছরের শুরুর দিনটিকে উদযাপন করতে তৈরি হচ্ছেন পাহাড়িরা। পাহাড়ে পাহাড়ে তাই রং লেগেছে। সব দিকেই চলছে প্রস্তুতি। ঘরদোর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। নতুন করে সাজানো হচ্ছে পূজা মণ্ডপ। কেনা হচ্ছে নতুন পোশাক। আদিবাসী শিল্পীরা নিজেদের তৈরি করছেন উৎসবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য।
তিন পার্বত্য এলাকার ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবের নাম বৈসাবি। এ উৎসবকে ত্রিপুরাদের ভাষায় বৈসুক, মারমাদের ভাষায় সাঙ্গরাই, চাকমাদের ভাষায় বিজু, অহমীয়াদের ভাষায় বিহু, তঞ্চঙ্গ্যাদের ভাষায় বিসু নামে ডাকা হয়। এর মধ্যে বৈসুকের ‘বৈ’, সাঙ্গরাইয়ের ‘সা’ এবং বিজু, বিসু ও বিহুর ‘বি’ নিয়ে উৎসবটিকে সংক্ষেপে ‘বৈসাবি’ নামে পালন করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদনের পর থেকে পাহাড়ের সব জনগোষ্ঠীকে একসাথে উৎসবে সম্মিলিত করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল নামটি।
বান্দরবানে উৎসবে অংশ নেবেন মারমা, চাকমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো, চাক, খেয়াং, খুমি, বম, লুসাই, পাঙ্খোয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। মারমাদের সাঙ্গরাই মূলত চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরেই। ফুল তোলা, বুদ্ধকে ফুল দিয়ে অর্চনা করাসহ নানান ধর্মীয় রীতি জড়িত এখানে। তবে পহেলা বৈশাখের দিনটি পুরোই উৎসব মুখর। পানি খেলা, পিঠা উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এই সব কিছুই বর্ষবরণের অংশ।
গরমের দাবদাহে শহরের ধূলায় বর্ষবরণ করতে না চাইলে চলে যেতে পারেন বান্দরবানে। আদিবাসীদের সাথে শুরু হতে পারে এবারের নতুন বছর। তবে অবশ্যই তাদের জাতিসত্তা এবং সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রাখবেন।
Post MIddle
কীভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে বান্দরবানের বাস রয়েছে সরাসরি। সেই বাসে চলে যেতে পারেন ১২ তারিখ রাতেই। পৌঁছে যাবেন সকাল ৭টার মাঝে। সেখান থেকে বাসে রুমা বাজার যেতে পারবেন। সবচেয়ে ভালো হয় আপনার পরিচিত কোন আদিবাসী পরিবার থাকলে। সেখানে অবস্থান করে একইসাথে উপভোগ করতে পারেন সাঙ্গরাই।
সম্পাদনা: ড. জিনিয়া রহমান।
আপনাদের মতামত জানাতে ই-মেইল করতে পারেন zinnia@priyo.com এই ঠিকানায়।

 

সুত্র:প্রিয়.কম
পছন্দের আরো পোস্ট