মুক্তিযুদ্ধ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষক সেমিনার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চতর মানববিদ্যা গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে আজ (৩০ মার্চ ২০১৭) বৃহস্পতিবার লেকচার থিয়েটার ভবনের মমতাজুর রহমান তরফদার সভাকক্ষে “মুক্তিযুদ্ধ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে দিনব্যাপী সেমিনারের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন। সেমিনার সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়।

Post MIddle

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য মানববিদ্যা গবেষণা কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই মার্চ মাস বাঙালি জাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাস। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে অগণিত শহীদের আত্মবলিদানের কথা স্মরণ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি উপাচার্য শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কথা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাদের প্রকৃত সত্য জানাতে হলে এই ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে উপাচার্য আরও বলেন, অশিক্ষা, কুশিক্ষা ও জঙ্গিবাদ থেকে মুক্তির সংগ্রাম এখনও অব্যাহত আছে। মানবতার সংকট বর্তমানে খুবই প্রকট, সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জীবন পরিচালিত করতে হবে।

সকালে সেমিনারের উদ্বোধনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। এতে “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠা মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য নিদর্শন: পর্যালোচনা” শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক ড. আয়শা বেগম এবং “জ্যোতির্ময় যে জীবন” শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ড. মোবাশ্বেরা খানম। সেমিনারে বিকেলের পর্বে সভাপতিত্ব করেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক কে এ এম সা’দ উদ্দিন। এতে “মুক্তিযুদ্ধ ও ষাটের দশকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: কিছু কথা” শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক এবং “বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: একটি পর্যালোচনা” শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির।

পছন্দের আরো পোস্ট