ঢাবিতে কোয়ান্টাম মেডিটেশন সোসাইটির আলোচনা

পুঁজিবাদী এই বিশ্বে যেমন সমস্যাবিহীন মানুষ যেমন খুজে পাওয়া যাবে না, তেমনি আবার মানুষের সমস্যারও শেষ নেই,একটা সমস্যা শেষ হতে না হতেই আরেকটা সমস্যার জন্ম হয়। তাই মানুষকে পড়তে হয় বিপাকে । এই সমস্যা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সোমবার (০৬ মার্চ,২০১৭) সকাল ১০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোয়ান্টাম মেডিটেশন সোসাইটির উদ্যোগে “সমস্যা সমাধানে আমি সাহসী ও সৃজনশীল হব” শীর্ষক এক বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রমেশ চন্দ্র মজুমদার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে মারুফ ইবনে মাহবুব এর উপস্থাপনায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ার প্রানজিৎ লাল শীল,ইঞ্জিনিয়ার, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।

Post MIddle

ইঞ্জিনিয়ার প্রানজিৎ লাল শীল বলেন,জীবন যতদিন আছে সমস্যা ততদিন থাকবে,এই বাস্তবতা আমাদের মেনে নিতে হবে। তিনি সমস্যাকে সঞ্জায়িত করেন এইভাবে, যে আপনি যখন একটি সোজা রাস্তা দিয়ে হাটবেন,তখন দেখবেন রাস্তাটি আপনাআপনি দুই ভাগ হয়ে গেছে,যার মধ্যে রাস্তার একভাগ আপনাকে সম্ভাবনার দিকে ডাকবে আর একভাগ ডাকবে ধ্বংসের দিকে।এমতাবস্থায় সিদ্ধান্ত গ্রহনে যে দোটানা অবস্থা সৃষ্টি হয়,সেটাই সমস্যা। অর্থাৎ আমরা যানি না কোনটা পথটা সম্ভাবনাময় আর কোন পথটা ধ্বংসাত্নক। তিনি বলেন সৃজনশীলতা চর্চার মাধ্যমে আমরা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি ।
তিনি আরো বলেন,সমস্যা সামনে আসলে কেন আমরা দুশ্চিন্তা করি? তার প্রধান কারন আমাদেন পূর্ব পুরুষদের জীবনাচরণ ।কারন আদি সমাজ ব্যবস্থায় মানুষ কোন জন্তু জানোয়ারের সামনে পড়লে বাঁচার জন্য হয়তো সেটার সাথে যুদ্ধ করত নয়তো সেখান থেকে পালিয়ে যেত । এই যে তাৎক্ষনিক যুদ্ধ নয়তো পালানো,সেটা আমাদের বর্তমান জীবনে প্রতিফলন ঘটে তাৎক্ষনিক দুশ্চিন্তার মাধ্যমে।

সর্বশেষে তিনি বলেন, সমস্যা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হল মাথা ঠান্ডা রাখা । মাথা ঠান্ডা রাখার তিনি (অটো সাজেশন) পদ্ধতির কথা বলেন।

উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন।

পছন্দের আরো পোস্ট