বেরোবি ছাত্রলীগের ১৫ নেতাকর্মী আহত হওয়ার অভিযোগ

দোকান ভাংচুরের জের ধরে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা (বেরোবি) ছাত্রলীগ, এলাকাবাসী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে গত শনিবার ৫ ঘন্টা ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ১৫/২০ জন নেতা বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের।গত শনিবার বিকেল সাড়ে চারটা হতে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলমান এই সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আসাদুজ্জামান আসাদসহ ১০/১৫ জন শিক্ষার্থীকে রংপর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হযেছে বলে জানা গেছে। এতে বেশ কয়েকজন গুরুত্বর আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্কের মোড় এলাকার লিফা ফাস্ট ফুড অ্যান্ড কনফেকশনারিতে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে বিকেল চারটার দিকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্কের মোড়ে প্রতিবাদ জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কুড়িগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে অবস্থান নেন। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় লাটি-শোটা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।

ব্যবসায়ীদের দাবি, দোকন ভাংচুরের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়িত। তবে বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি শিশির বলেন, ‘ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে একজন সাধারণ ছাত্রের কথাকাটি হয়েছে। এর জের ধরে ওই ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

Post MIddle

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (অতিরিক্ত) মীর তামান্না সিদ্দিকা জানান, আমরা আশা করেছিলাম পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবে। কিন্তু তা করা হয়নি। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

এদিকে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সব কার্যক্রম স্থগিত করে দিযেছে কেন্দ্রীয কমিটি। ঘটনা পর্যবেক্ষণে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটিও রাতেই ক্যাম্পাসে পাঠানো হচ্ছে বলে জানান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন।

কোতয়ালী থানার ওসি এবিএম জাহিদুল ইসলাম জানান, তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।#

পছন্দের আরো পোস্ট