ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম সমাবর্তন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম সমাবর্তন আজ শনিবার (৪ মার্চ) সকাল ১১:৩০টায় বিশ্ববিদ্যালয় শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। সব বন্ধুর সঙ্গে গাউন গায়ে ছবি তোলা, হৈ-হুল্লোড় আর বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে মধুর স্মৃতিগুলো রোমন্থন, মূল সনদ গ্রহণ, তাও আবার রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে। সব মিলিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত কলেজ এবং ইনস্টিটিউটগুলো থেকে পাস করা স্নাতকদের মনে সমাবর্তনকে নিয়ে এক অন্য রকম উত্তেজনা কাজ করছে । কালো গাউন আর মাথায় ক্যাপ দিয়ে সমাবর্তন যোগ দেয়ার অপেক্ষার প্রহর গুণছে এসব পিএইসডি, এমফিল ও স্নাতক ডিগ্রিধারীরা।

কয়েকদিন ধরেই কলাভবন ও অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ৫০তম সমরাবর্তনে অংশগ্রহণকারীদের মিলনমেলা বসেছে। সেখানে অনেক শিক্ষার্থী এক সঙ্গে জড়ো হয়ে শিক্ষা জীবনের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ছবি তুলছে। শুধু কলাবভনেই নয়, প্রাণের ক্যাম্পাসের স্মৃতিময় জায়গাগুলোতে  আড্ডায় মেতে ওঠছেন সমার্বতনে অংশগ্রহণকারী সদ্য স্নাতকেরা।

সমাবর্তন সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হয়েছে। সমাবর্তনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

Post MIddle

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর জনাব মোঃ আবদুল হামিদ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে থাকবেন কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অন্টারিও এর প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক অমিত চাকমা । সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁকে ডক্টর অব সায়েন্স ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এক সংবাদ সম্মেলনে সমাবর্তন সংস্কৃতি প্রচলনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সমাবর্তন দিবস শিক্ষার্থীদের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিবসটির জন্য শিক্ষার্থীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা একাডেমিক সার্টিফিকেট ও পদক গ্রহণ করে থাকেন। অথচ স্বাধীনতা পূর্ব ও উত্তরকালে দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। বর্তমানে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সংস্কৃতি চালু হয়েছে। এই সংস্কৃতি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সমাবর্তনে ৯৪টি স্বর্ণপদকের জন্য ৮০জন পদকপ্রাপ্ত, ৬১জন পিএইচ.ডি., ৪৩জন এম.ফিল. এবং ১৭,৮৭৫জন গ্র্যাজুয়েট অংশগ্রহণ করবেন।##

পছন্দের আরো পোস্ট