জীবনেও পরীক্ষায় রিভিশন দেই নাই

আমি জীবনেও কোনোদিন পরীক্ষা দিয়ে রিভিশন দেই নাই!!পরীক্ষায় টানা তিন চার ঘন্টা লিখতাম এটাই তো বেশি!! লেখা শেষ হওয়ার পরে এক মুহূর্তও হলে থাকা লাগলে আমার দম বন্ধ হয়ে আসতো!!

Post MIddle

ছোটবেলায় আম্মা বলে দিতো ম্যাথ একজাম দিয়ে অংকের প্রত্যেক প্রশ্নের পাশে রেজাল্ট লিখে নিয়ে আসতে!! প্রায়ই সেই আদেশ অমান্য করতাম বলে স্কুলে হাজার হাজার প্যারেন্টস স্টুডেন্টস এর সামনেই আম্মা গাল এর মধ্যে চিমটি দিতো!!সেইটা যেন তেন চিমটি না, খাওয়ার পরে মনে হতো ৫০০/৬০০ ভোল্টের কারেন্টের শক লাগসে!!

যাই হোক,সাফল্যের সাথে ছোটবেলার বদভ্যাস আমি এখনো ক্যারি করছি কারণ আমার ধারণা আমি বড় হইনাই,হবোও না!! বয়স টয়স এগুলা সব মিডিয়ার সৃষ্টি!!আর কোনো একজন মনীষী তো বলেই গেছেন- এইজ ইজ জাস্ট এ নাম্বার,এর সাথে বড় হওয়ার কোনো সম্পর্ক নাই!!মূল বিষয়ে আসি,যদিও বিষয় হিসেবে সেটা অতি ফালতু!!

রিভিশন দেয়ার অভ্যাস যেহেতু নাই!! কিছু লিখা মাত্র ফেবুতে পোস্ট দিয়ে দেই!!পরে যখন পড়ি তখন হাজারটা বানান ভুল পাই!! তাও আবার অত্যন্ত ননসেন্স ধরণের বানান!!জনসাধারণের উদ্দেশ্যে একটাই বক্তব্য অনিচ্ছাকৃত এই ভুল ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং ধরে নেবেন ওই বানানগুলো আমি পারি……..

যারা ধৈর্য্য ধরে আমার স্ট্যাটুটি পড়লেন তাদেরকে পুরস্কার স্বরূপ বানান ভুল বিষয়ক একটা জোক শুনিয়ে বিদায় নেই

একবার এক নিউজ পেপারে হেডলাইন ছাপা হলো-

রাজধানীতে পুলিশের গু খেয়ে দুই বকের মৃত্যু।লোকজন তো নিউজ পড়ে পুরাই মাননীয় স্পিকার – পুলিশের ওই জিনিসে এতো পাওয়ার??কেম্নে কি??

পরের দিন সেই পত্রিকা একটি সংশোধনী ছাপলো এই বলে-গতকালের খবরটিতে কিঞ্চিৎ ভুল ছিল!!খবরটি হবে,পুলিশের গুলি খেয়ে দুই যুবকের মৃত্যু। আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত কারণ ওটি ছিল আমাদের পাছার ভুল।

পছন্দের আরো পোস্ট