বুড়িশ্চর জিয়াউল উলুম মাদরাসার বার্ষিক সভা

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেছেন মাদ্রাসা শিক্ষা হচ্ছে শির্ক্ষর্থীদের মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার অন্যতম মাধ্যম। কারণ এখান থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি ধর্মীয়, চারিত্রিক ও নৈতিক শিক্ষা নিয়ে বেড়ে উঠে। তাই মাদরাসা শিক্ষার্থীরা সর্বত্র সুনামের সাথে তাদের ভবিষ্যত গড়তে পারে।

তিনি আরো বলেন যারা সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত তাদের চেয়ে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা অনেক এগিয়ে থাকে। কারণ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বাংলা ও ইংরেজীর পাশাপশি আরবী ও ধর্মীয়, চারিত্রিক ও নৈতিকতা সম্পন্ন জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পায়। তাই মাদরাসা শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। তাছাড়াও এ সরকারও মাদরাসা শিক্ষার জন্য অনেক আন্তরিক। সরকার মাদ্রাসার শিক্ষার উন্নয়নে যা যা করনীয় সব কিছু করে যাচ্ছেন।

তিনি গতকাল ২৩ ফেব্রুয়ারী বৃহষ্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীস্থ বুড়িশ্চর জিয়াউল উলুম ফাযিল মাদরাসার ৬১ তম বার্ষিক সভা ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ বুলবুলে আহলে সুন্নাত হযরতুলহাজ্ব আল্লামা জাফর আহমদ সিদ্দিকী (রহ:) ২৩ তম বেছাল শরীফ এবং শহীদ ফারুক মাহমুদ সিদ্দিকী ও হাজী মোহাম্মদ সোলাইমান খান এর ১৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনসহ প্রতিষ্ঠানের মরহুমীন-মরহুমার সকল দাতা-প্রতিষ্ঠাতা-শুভাকাংখীদের ইছালে ছাওয়াব উপলক্ষে আয়োজিত ২দিন ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির অনুষ্ঠানমালার প্রথম দিন পুরষ্কার বিতরণী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মাদরাসা গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাশেম’র সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদরাসার অধ্যক্ষ আলহাজ আল্লামা এস.এম. ফরিদ উদ্দিন।

Post MIddle

তিনি বলেন মাদ্রাসার ছাত্ররা বর্তমানে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে সম্মানজনক ভাবে অধিষ্ঠিত আছেন। এ কারণে মাদরাসা শিক্ষিতদের পূর্বে তুলনায় অনেক কদর বেড়ে গেছে । তাই মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীদের আরো মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করে সুনাগরিক হওয়ার চেষ্টা করে যেতে হবে।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ জাফর আহমদ,ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টসের জি এম আলহাজ আব্দুস সবুর, পিপলস লাইফ ইন্সুরেন্সের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা, বুড়িশ্চর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রফিকুল আলম, শিকারপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিকী, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম, আলহাজ হোসাইন মুনিরী, বেলাল উদ্দিন বিজয়, অধ্যাপক মুসা কলিম উল্লাহ, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মো. নাছির উদ্দিন।

মওলানা মোরশেদুল কাদেরী’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ নুরুল আমিন, অধ্যাপক মঞ্জুল কাদের, মাওলানা আ.ন.ম মঞ্জুর হায়দার সিদ্দিকী, মাওলানা ওবাইদুল হক বুড়িশ্চরী, হাফেজ কামাল উদ্দিন, নুরল হক। ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বক্তব্য রাখেন এনামুল করিম, হুরে জান্নাত, হাফেজ মো. আব্দুল মুজিদ প্রমূখ।

শেষে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা পশাসক আব্দুল জলিল পুরষ্কার তুলে দেন। এছাড়াও দেয়ালিকা ও স্থিরচিত্র এবং ইসলামী ক্যালোগ্রাফী প্রদর্শনী ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন।

পছন্দের আরো পোস্ট