সাময়িক স্থগিত রুয়েট শিক্ষকদের আন্দোলন

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) শিক্ষকদের আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নীরেন্দ্রনাথ মুস্তাফী জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এক জরুরি সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

নীরেন্দ্রনাথ মুস্তাফী বলেন, শনিবার জরুরি সাধারণ সভায় আমাদের চলমান আন্দোলন সাময়িক স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে ২১ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের দাবির বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নিলে আমরা আবারো বসে সিদ্ধান্ত নিব।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে এক জরুরি সভায় উপাচার্যসহ ১৬ জন শিক্ষককে অবরুদ্ধ ও অসদাচারণের অভিযোগে ক্লাস-পরীক্ষা গ্রহণ থেকে নিজেদের বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষক সমিতি। টানা ১৩ দিন আন্দোলনের পর শনিবার এ কর্মসূচি স্থগিত করে তারা।

রুয়েট সূত্রে জানা যায়, ৩৩ ক্রেডিট প্রথা বাতিলের দাবিতে ২৮ জানুয়ারি থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল, গণস্বাক্ষর, মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এরপর আন্দোলন দমাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি সেশনের ক্লাস-পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ এবং ওই শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ জারি করা হয়।

Post MIddle

৪ ফেব্রুয়ারি দিনভর আন্দোলন শেষে বিকেল থেকে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। ফলে উপাচার্য অধ্যাপক মোহা. রফিকুল আলম বেগসহ ১৬ শিক্ষক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরদিন অবরুদ্ধ অবস্থায় একাডেমিক কমিটির জরুরি সভা ডেকে দাবি মেনে নেয় প্রশাসন। তবে শিক্ষকদের সাথে অসাদাচারণ, কটুক্তি ও লাঞ্ছিতের অভিযোগ এনে ওই দিনই ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষক সমিতি।

শিক্ষক সমিতির দাবির বিষয়ে সভাপতি অধ্যাপক নীরেন্দ্রনাথ মুস্তাফী বলেছিলেন, ‘আন্দোলনের সময় এবং পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা যেভাবে শিক্ষকদের সঙ্গে সরাসরি এবং সামাজিক মাধ্যমে দুর্ব্যবহার করেছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। সব শিক্ষার্থীর বিষয়ে নয়, ‘সীমালঙ্ঘনকারী’ এবং ‘উস্কানিদাতাদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

তবে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, ১১ ও ১২ ফেব্রয়ারি শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বিভাগের শিক্ষকদের কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। তবে বেশিরভাগ বিভাগের শিক্ষকরা তা গ্রহণ করেন নি। শিক্ষার্থীরা যে কোনো সময় শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চাইতেও প্রস্তুত আছেন বলে জানান তারা।

এর আগে ৮ ফেব্রয়ারি শিক্ষকদের অভিযোগ তদন্তে ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন এন্ড কম্পিউটার সায়েন্সের (আইআইসিএস) পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শহীদ উজ জামানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তের বিষয়ে শহীদ উজ জামান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।’ ##

পছন্দের আরো পোস্ট