বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের “দেপক ১৭”অভিযান

“পরিবর্তন চাই”-এর উদ্যোগে গতকাল (৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭) শনিবার দেশে তৃতীয় বারের মত এবং গোপালগঞ্জে দ্বিতীয় বারের মত পালিত হল “দেশটাকে পরিবর্তন করি দিবস”। সকাল ১০টায় ১২০ জন বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থী হেলিপ্যাডে মিলিত হয়। তারা পাঁচটি দলে বিভক্ত হয়ে একটি দল লেকপার্ক, দুটি দল কুয়াডাঙা, এবং দুটি দল হেলিপ্যাড থেকেই তাদের কার্যক্রম সকাল ১১ টা নাগাদ শুরু করে। সবাই রাস্তা এবং আশেপাশের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মানব সৃষ্ট ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করে নিকটস্থ ডাস্টবিনে ফেলে এবং জনসাধারণকে সচেতন হওয়ার আহবান জানায় যেন সবাই নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলে।
“পরিবর্তন চাই” নামক সামাজিক এই উদ্যোগটি সাধারণ মানুষের চিন্তা চেতনার ইতিবাচক পরিবর্তন এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার সাথে নানাবিধ কর্মসূচী পালন করে আসছে অনেকদিন ধরেই।
কর্মরত একজন স্বেচ্ছাসেবী দিব্যদিপ্তী হালদার (পরিসংখ্যান, ৩য় বর্ষ) জানান এই উদ্যোগে সর্বসাধারণ তাদেরকে সহযোগীতা করে এমনকি কয়েকজন পথচারী তাদের সাথে অভিযান চলাকালীন পুরোটা সময়জুড়ে তাদের সাথে ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করে ডাস্টবিনে ফেলেন।
তবে কেউ কেউ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এবং জনসাধারণের অসচেতনতা নিয়ে আক্ষেপ করেন। পাঁচুড়িয়া বাজারের একজন নিয়মিত ক্রেতা সায়েস্তা খান বলেন পাঁচুড়িয়া কাঁচা বাজারে কোনো ডাস্টবিন নেই। আর এক মুদি দোকানদার উত্তম-এর দোকানের বাইরে একপাশে ময়লার ঝুড়ি থাকা সত্ত্বেও অনেক ক্রেতাই ঝুড়ি ব্যবহার করেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযান শেষে পরিকল্পনা মত দুপুর ১টায় দলনেতাগণ সদস্যদের নিয়ে লেকপার্কে উপস্থিত হন। দেপক-এর গোপালগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক আবদুল আলীম সবুজ (পরিসংখ্যান, ৩য় বর্ষ) ও মোস্তাজাহার বিল্লাহ (পরিসংখ্যান, ৩য় বর্ষ), এবং দলনেতাগণ মতামত ও শুভেচ্ছাবক্তব্য রাখেন। মোস্তাজাহার বিল্লাহ-এর মতে এ অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হল আমাদের নিজেদের রাস্তায় ময়লা ফেলার অভ্যাস পরিবর্তন করা।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে গোপালগঞ্জের সিনিয়র সাংবাদিক মনোজ সাহা শপথবাক্য পাঠ করান। বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা জানান এই শপথবাক্য শুধু ধারণই না, বরং শিক্ষাটাকে কাজে লাগাতে হবে। শুধু রাস্তাঘাটই না সমাজের প্রতিটি অসংগতি দূর করতে বদ্ধপরিকর এই তরুণ সমাজ।
পছন্দের আরো পোস্ট