রাবিতে ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিজয় দিবসের সন্ধ্যায় এর মিলনায়তনে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক টিএমএম নুরুল মোদ্দাসের চৌধুরীর সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সমকাল নাট্যচক্রের সাবেক সভাপতি সাজু সরদারও বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দারের স্ত্রী চম্পা সমাদ্দারসহ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র-উপদেষ্টা, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক কর্মী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশের পাশে ছিল আজও আছে, চিরদিন থাকবে। কারণ দেশ দুটি হলেও আমাদের চিন্তাধারা, সংস্কৃতি ও হৃদয় এক। বাংলাদেশের অগ্রগতিতে আমরাও গর্বিত। এদেশের অগ্রযাত্রায় হাতে হাত মিলিয়ে আমরা পাশে থাকতে চাই।

Post MIddle

কেন্দ্রের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করে উপাচার্য তাঁর বক্তৃতায় বলেন সুনাগরিক গড়ে তোলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকা-েরও প্রয়োজন আছে। সে লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন অগ্রাধিকারভিত্তিতে ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন করে এর কার্যক্রম শুরুর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে। তারই সফল বাস্তবায়ন এই কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু। এর মাধ্যমে প্রায় তিন দশক আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যে দাবি জানিয়েছিল তা পূরণ হলো। উপাচার্য ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকাকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক বলয় গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও জানান।

প্রসঙ্গত গত শতাব্দীর আশির দশকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতিকর্মীরা ক্যাম্পাসে টিএসসিসি’র দাবি জানালে কর্তৃপক্ষ ১৯৮৪ সালে ৯৮২ বর্গমিটার আয়তনবিশিষ্ট টিএসসিসি ভবন তৈরির পরিকল্পনা নেয়। ভবটি তৈরির এক পর্যায়ে ২০০৬ সালে এটি ধসে পড়ে। এর দীর্ঘদিন পর ২০১৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন নতুন নকশায় এটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে দ্রুততার সাথে এর কাজ সম্পন্ন করে। ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর ভবনটি উদ্বোধন করেন।#

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট