বশেমুরবিপ্রবি’র সাদাকালো অচিনপাখি আরশিনগর

sadakalo২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত ৫৫ একরের সুবিশাল ক্যাম্পাস। সকালে ফুলের সুবাস, বিকেলে হিমেল হাওয়া আর রাতের আলোকজ্জ্বল পরিবেশ এই নিয়ে বেঁচে আছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি )। বিকেলের দিকে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার প্রাংগণে বসে গান গাইছিল একদল তরুণ-তরুণী। ‘মিলন হবে কত দিনের’ গানের টানে বুঝা গেল তারা লালনের ভক্ত। তাদের ভিতরে একজন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অভিজিত সাহার সাথে কথা বলে বুঝলাম তারা এই ক্যাম্পাসে লালন ভক্ত এবং তাদের গানের দলের নাম অচিনপাখি।

Post MIddle

অচিনপাখি গানের দলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা এ বছরের শুরুতেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোটামুটি সবগুলো অনুষ্ঠানেই ফুটিয়ে তুলেন তাদের গানের ধারা। তাদের বিশ্বাস লালনকে জানার মত এরকম মাধ্যম জরুরি। অচিন পাখির পাশাপাশি ক্যাম্পাসের লালনরুপি আরেকটি দল হল আরশিনগর। কুষ্টিয়ার শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা ও আন্ত:সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের কার্যক্রম নেহাত কম নয়।

বশেমুরবিপ্রবিতে পুরনো গান দল হিসেবে আজও পরিচিত সাদাকালো মিউজিক ক্লাব। যাদের পছন্দ আধুনিক বাংলা, ফোক থেকে শুরু করে ইংরেজী গান পর্যন্ত। ক্যাম্পাসের ফুটবল মাঠে তাদের আসর জমে। সুরে সুরে ক্যাম্পাস মাতানো কেবল ফুটবল মাঠেই নয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গুলোতেও দর্শকের মূল আকর্ষণ তারাই। সাদাকালোর একজন জানাল, গানকে ভালোবাসা আর গানকে চর্চা করা হল সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যকে ধরে রাখা।

এই দলগুলোর পাশাপাশি বশেমুরবিপ্রবিতে বেশ কিছু সংগঠন সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চা করে যাচ্ছে। তাদের ভিতরে অন্যতম, রংধনু, অংগন, ইডাস, শূন্য নাট্যদল এবং আই প্লাস ওয়ান লিটারেচার ক্লাব।

এছাড়া বশেমুরবিপ্রবির সংস্কৃতির মাত্রা বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বছর অনুমোদন দেয় বাংলাদেশের অন্যতম সংগঠন উদীচী শিল্পগোষ্ঠীর বশেমুরবিপ্রবি শাখাকে। এছাড়া জনপ্রিয় সংগঠন প্রথম আলো বন্ধুসভার কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে আগামী বছর থেকেই।

পছন্দের আরো পোস্ট