সাদার্নে ইট-বালির গুণগত মান বিষয়ক সেমিনার

সাদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর পুরকৌশল বিভাগের উদ্যোগে “ চট্টগ্রাম শহরের নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ইট ও বালির গুণগত মান” শীর্ষক সেমিনার সম্প্রতি সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাদার্ন ইউনিভার্সিটির পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার এম. আলী আশরাফ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষক ইঞ্জিনিয়ার অলি আফাজ। সেমিনারে শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Post MIddle

প্রবন্ধে প্রকৌশলী অলি আফাজ চৌধুরী চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন নির্মাণ সাইটে ব্যবহৃত ইট এবং বালির বিভিন্ন গুণাবলীর উপর গুরুত্বারোপ করে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন।

প্রবন্ধে আরও উল্লেখ করা হয়-বর্তমান বিশ্বায়নের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে অবকাঠামোগত উন্নয়নে যুগান্তকারী অগ্রগতির কারণে স্থানীয় নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এইসব নির্মাণ সামগ্রীর কার্যকারিতা ও উপযোগিতা নির্ণয়ের জন্য পুরকৌশল বিভাগে গবেষণাটি পরিচালিত হয়। উক্ত গবেষণায় চট্টগ্রাম শহরের ৪১টি ওয়ার্ডের ৪৩২ টা কনস্ট্রাকশন সাইটে চালানো এক গবেষণা সার্ভে থেকে দেখা যায় ৭৩.৮৪% সাইট শুধুমাত্র হ্যান্ডমেইড ইট ব্যবহার করে এবং ৯.০৩% সাইট শুধুমাত্র মেশিনমেইড ইট ব্যবহার করে। আর ১৭.১৩% সাইট উভয়টাই ব্যবহার করে। লোকাল বালির ক্ষেত্রে অধিকাংশ কনস্ট্রাকশন সাইট ডলু, কালুরঘাট, নারায়নহাট, শিলক ও ডুলাহাজারা ইত্যাদির জায়গার বালি ব্যবহার করে। তবে ৮০% সাইটই সিলেট বালির সাথে লোকাল বালি মিশিয়ে ব্যবহার করে। ল্যাব টেস্টের ফলাফল থেকে দেখা যায় সাতকানিয়া ও মগাছড়ি থেকে প্রাপ্ত ইটগুলোর ভারবহন ক্ষমতা সবচেয়ে সবচেয়ে বেশি। তবে সাতকানিয়া, মগাছড়ি, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, সিটি গেট, নাসিরাবাদ অঞ্চলের ইটগুলোর সাইজ স্ট্যান্টার্ড সাইজের চেয়ে কম।#

পছন্দের আরো পোস্ট