খুবির সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনে মতবিনিময় সভা

khulna-university-photoশনিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. সত্যেন্দ্র নাথ বসু একাডেমিক ভবনের ইউআরপি ডিসিপ্লিনের লেকচার থিয়েটারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিন এবং বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) এর উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমকে আরও ভূমিকা পালনের আহবান জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান স্কুলের ডিন ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিন প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকার সম্পাদক ফেরদৌসী আলী। সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক মফিজুর রহমান ‘গণমাধ্যমে নারী: লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতানির্ভর আধেয় সমীক্ষা নামে গবেষণাকর্ম উপস্থাপন করেন। প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক স্কুলের ডিন এবং ইংরেজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. সাবিহা হক, খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, বিশেষ পি পি, এ্যাডভোকেট অলোকা নন্দা দাস। উক্ত মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ এর পরিচালক মাহফুজুল বারী চৌধুরী।

Post MIddle

সভায় গণমাধ্যম, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সাংবাদিকতা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য কিছু সুপারিশ করা হয় যার মধ্যে- সহিংসতার ঘটনার চাইতে সহিংসতার শাস্তি, প্রতিবাদকে গুরুত্ব দিতে হবে, সহিংসতাকে এমন কোন বর্ণনা দেয়া যাবে না যাতে কোন রোমাঞ্চকর গল্পের মতো মনে হয়, নারী লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার হলে তার নাম পরিচয় বা এমন বিবরণ প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে হবে, যা নারীর পরিচয় প্রকাশ করতে পারে, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার সংবাদে সমাজে প্রচালিত পুরুষতান্ত্রিক আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বিষয়ক সংবাদে নারীর ছবি ব্যবহারে সর্তক থাকতে হবে, যাতে তা কোনভাবেই নারীকে মূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে নীতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিকে উৎসাহিত না করে

। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের কাছে সুপারিশ করা হয় যে, নারী নির্যাতন রোধে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন এবং নারীদের সহায়তা সেল গঠন করা হয়েছে। কিন্তু অসচ্ছল নারীদের বিনামূল্যে আইনি সহয়তা দেয়া এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার নারীদের নিয়ে যে সামাজিক ট্যাবু রয়েছে তা ভাঙার পদক্ষেপও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে। সাংবাদিকতা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকতার মাধ্যমে লিঙ্গভিক্তিক সংবেদনশীলতা প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তি সবসময়ই নাজুক অবস্থায় থাকে। তাই এ ধরনের সহিংসতার শিকার ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নেয়ার প্রদ্ধতি/কৌশল এবং সতর্কতা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত করতে হবে।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লি প্রধান, আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ##

 

পছন্দের আরো পোস্ট