বেরোবিতে যাদের খাতা মূল্যায়ন করা হবে না

BEROBIরংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৬ স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় যদিও ভর্তি প্রোসপেক্টাসে শুধু এইচ.এস.সি/সমমানের রেজিস্ট্রেশন কার্ডের মূল কপি কিন্তু এ্যাডমিড কার্ডে তার সাথে এস.এস.সি’র মূল কপিও আনতে বলা হয়েছে। অনেকেই একটি নিয়ে এসেছেন আবার অনেকেই এসবের ফটো কপি নিয়ে এসেছেন। এদের অনেককেই কেন্দ্র হতে বের করে দেয়া হয়েছে। আবার যারা কোনক্রমে এসব শর্ত পূরণ না করেই পরীক্ষা দিয়েছেন, তাদের খাতা কোনভাবেই মূল্যায়ন করা হবে না বলে জানিয়েছেন ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে এম নূর উন নবী।

বি ইউনিটের ২য় শিফটে পরীক্ষা দিতে আসা লিমা আক্তার জানান,‘আমি রেজিস্ট্রেশন কার্ডের মূল কপি নিয়ে না আসায় আমাকে হল হতে বের করে দেওয়া হয়েছে। অথচ গতকাল ( ১৩ নভেম্বর, এ ইউনিটের) এই ফটোকপি দিয়েই পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়েছিল।’তিনি আরো জানান,‘ একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ইউনিটে দ্বিমুখী আচরণ কেন?’

একই ইউনিটের (বি) ৪র্থ শিফটের পরীক্ষার্থী আব্দুল মান্নান জানান,‘আমার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড নাই। কিন্তু জিডির কপি আছে। আমি এই ইউনিটের সমন্বয়ক বরাবর আবেদনও করেছি। তিনি আমাকে পরীক্ষা দিতে দিবেন না বলে জানিয়েছে।’

Post MIddle

বি ইউনিটের অপর এক পরীক্ষার্থী সেলিনা জানান,‘আমি ফঠো কপি দিয়েই পরীক্ষা দিয়েছি। কিন্তু তা কেন মূল্যায়ন করা হবে না? যদি এটিই করে তবে কেন আমার পরীক্ষা নেয়া হলো?’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্রালয়ের উপাচার্যের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,‘ কেউ জিডি করা পরীক্ষার্থীকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পরীক্ষার একদিন আগেই বিকেল ৫ টার মধ্যে আবেদন কওে অনুমতি নিতে হবে। অন্যথায় তাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না।’

তিনি আরো বলেন,‘ ইতোমধ্যে যারা মূল কপি ছাড়াই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেছে তাদের পর্রীক্ষা নেয়া হয়েছে কিন্তু উত্তরপত্রগুলো মূল্যায়ন করাই হবে না।’

পছন্দের আরো পোস্ট