নাটক ও বশেমুরবিপ্রবি

নাটক কার না ভালো লাগে। আর তা যদি হয় পথনাট্য কিংবা মঞ্চ নাটক তা হলে আর কি। ক্লাস, এসেইনমেন্ট, ল্যাব এগুলোর ফাকে নিজ বন্ধুদের নিয়ে নাটক দেখার মজাই আলাদা। ৫৫ একরের এই বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই নাট্যকলা বিভাগ। তারপরেও প্রতিষ্ঠার ৫ বছর ধীরে ধীরে বাড়ছে নাটকের জনপ্রিয়তা। ক্যাম্পাসেই হচ্ছে পথনাট্য থেকে শুরু করে মঞ্চ নাটক কিংবা শর্ট ফিল্মের মত সেলুলয়েড।

Post MIddle

শুরুর দিকে নাটক নিয়ে এগিয়ে আসে ক্যাম্পাসের প্রথম সিনেমাটিক সোসাইটি ‘বশেমুরবিপ্রবি সিনেমাটিক সোসাইটি’। এরপর কয়েক বন্ধু মিলে তৈরি করে আরেকটি মঞ্চ নাটকের প্ল্যাটফর্ম ‘শূণ্য নাট্যদল’। শূন্য নাট্যদলের একজন বলল যে নাটক দেখানোর পাশাপাশি সবচেয়ে জরুরি এর অনুশীলন। তবে নাটক থেকে দর্শক আদায় করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রিয় ক্লাব ‘আই প্লাস ওয়ান’। ইংরেজী নাটকগুলোকে ধরে রাখতে তাদের গড়া লিটারেচার ক্লাবের উদ্যোগে এ বছর তারা পালন করে শেকসপিয়ার জয়ন্তী আর সেই সাথে নাটক মঞ্চায়ন। ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী অভিজিত এর মতে দেখে দেখে শিখাটা জরুরি। অভিনয়কে আরও বেগবান করার জন্য ‘আই প্লাস ওয়ান’ এ বছরেই খুলে কমেডী ক্লাব।

পূর্বের তুলনায় এ বছর এপ্রিলের পর নাটক মঞ্চাস্থের ধুম পড়ে বশেমুরবিপ্রবিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সরেজমিন ঘুরে দেখা গিয়েছিল নাটক পরিবেশন। পরিসংখ্যান, হিসাববিজ্ঞান, সিএসই, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা বললেন নাটকই তাদের প্রিয়। নতুনদের ভিতরেও নাটকের ইচ্ছা প্রবেশ করেছে- এরই প্রতিফলন পাওয়া গেল ক্যাম্পাসের নতুন বিভাগ মার্কেটিং এর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে। গেল সপ্তাহে মার্কেটিং এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে আয়োজিত হল জংগীবাদ বিরোধী নাটক।

ক্যাম্পাসের অন্যতম সংগঠক ইনজারুল ইসলামের মতে, নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতির চর্চা খুবই প্রশংসার দাবি রাখে, এবছরেই এর মাত্রা যোগ করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদীচী ও বন্ধুসভার কমিটি। তার মতে একসময়ে দেশের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানগুলোতেও নাটক মঞ্চায়স্থ করবে আমাদের সহপাঠীরা।

পছন্দের আরো পোস্ট