স্টামফোর্ডের “সিভিল ৫০”র জন্য কাঁদলো সবাই

৫৩ জন সদ্য গ্র্যজুয়েট সামনে বসা। তাদের বিদায় জানানোর উদ্দেশ্যে মঞ্চে উপবিষ্ঠদের বক্তব্য ও উপদেশ ছিল প্রাণবন্ত। অতিথিদের কথা শুনে অনেকেই কেঁদেছেন আবেগে। অনেকেই হাততালিতে মুখরিত করেছেন অডিটরিয়াম অঙ্গন।গত ২৯শে আগস্ট স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সিদ্ধেশরী ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে অনুষ্টিত হলো পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম আলোচিত ব্যাচ “সিভিল ৫০”এর বিদায়যাত্রা। যাত্রাটা সম্মুখের পথে…

Post MIddle

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এশিয়ার লিডারশীপ এওয়ার্ড (২০১৬) প্রাপ্ত বিজ্ঞানী ও বুয়েটের সাবেক ডিন এবং স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘‘নীতি বিসর্জন দিয়ে নয়, আদর্শকে ধরে রেখে জীবন চলতে হবে সব সময়।অর্থবহ জীবনের মূল্য টাকার চেয়ে অনেক বেশি। শিক্ষার যে মূল্যবোধ সেটি কখনো টাকার সমতুল্য নয়। যদিও টাকা উপার্যনের জন্যে শিক্ষিত ব্যক্তিদের অনেক পথ খোলা থাকে। অর্থকে জীবনের জন্যে সহজ করতে হবে পরিশ্রমের মাধ্যমে। গ্র্যাজুয়েটদের নৈতিকতার মূল্য তাহলেই এ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে। আগামি প্রজন্মের আদর্শ হোক আপনাদের দেখানো পথে’’।

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিট’র সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ও কর্ণধার প্রফেসর ড. বিসি বসাক বলেন, ‘‘চলতে গেলে যদি ভুল না হয়, তাহলে সে চলা সঠিক নয়।বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। চার বছর বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ হলেই শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক কমে যায় না।বরং আজ থেকে সবার প্রতি আরও গভীর ভালোবাসার জন্ম হলো। সবার মধ্যে বড় হবার যে প্রত্যয়, সেটি একমাত্র পিতামাতা আর প্রকৃত শিক্ষকই কামনা করেন। সম্ভাবনার সবোর্চ্চ চূড়ায় আপনাদের যে স্বপ্ন সেটি অর্জিত হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা’’।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ও স্টামফোর্ড সাহিত্য ফোরামের প্রতিষ্টাতা ও বর্তমান সভাপতি আরিফ চৌধুরী শুভ বলেন, ‘‘একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর কাছে এ সমাজ অনেক কিছু প্রাপ্য। সমাজে অনেক শিক্ষার্থীর ইচ্ছা থাকা সত্বেও ভাগ্যে জোটে না বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। শুধু নিজেকে সাবলম্ভি নয়, নাড়ির টানে মাঝে মাঝে ফিরে যেতে হবে মাটির গ্রামে মাটির মানুষের কাছে । অবহেলিত, দারিদ্র আর স্বপ্নচোখা সেই মানুষদের ভালোবাসা থেকে বিচ্ছিন্ন শিক্ষার্থী কিংবা ব্যক্তি কখন ই প্রকৃত শিক্ষার অধিকারি হতে পারে না। তাই গড়ে তুলতে হবে স্কুল পাঠাগার আর আলোকিত করতে হবে গ্রামকে।

পুরো আয়োজনে ছিলো বিভিন্ন ধরনের সাস্কৃতিক আয়োজন। বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা, ছিলো ফাইজা -রায়হানের নৃত্য, ছিলো অমিক শিকদারের বিদ্রোহী কবিতা!এছাড়া নানাভাবে আয়োজনটি সবার মন জয় করে নেয়। দিনশেষে যখন বাড়ি ফেরার পালা, পুরো সিভিল ৫০এর জন্য চোখে পানি সবার। সবার আগামীর শুভকামনায় আয়োজনের সমাপ্তি…।#

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট