কুবি ক্যাম্পাসে সব ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ

KUMILLAঅবশেষে ঈদুল আযহার বন্ধের পর (২৫ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।তবে ক্যাম্পাসে সব ধরনের সভা সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ থাকবে। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হওয়ার ৩০তম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩তম সিন্ডিকেট মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সিন্ডিকেট সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফের সভাপতিত্বে আয়োজিত সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর কুন্ডু গোপীদাস, ড. এ. কে. এম. মাঈনুল হক মিয়াজী, অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল হাকিম-সহ সিন্ডিকেটের সদস্য-সচিব মো: মজিবুর রহমান রহমান মজুমদার প্রমুখ।

Post MIddle

সভার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফ বলেন, ‘আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঈদুল আযহার বন্ধ রয়েছে। সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, প্রশাসন ও সব মহলের সহযোগিতা ঈদের ছুটির পর ক্যাম্পাস খুলে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের সভা, সমাবেশ ও মিছিল করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত ১ আগস্টের প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ্জলনকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আলিফ ও ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস হোসেন সবুজের সমর্থকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। এতে কাজী নজরুল ইসলাম হলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মার্কেটিং ৭ম ব্যাচের ছাত্র সাইফুল্লাহ খালিদসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন, আহত হন দুই গ্রুপের অন্তত ১৫জন। গুলিবিদ্ধ সাইফুল্লাহ ভোর ৪টার দিকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান। নিহত সাইফুল্লাহ কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তুজারভাঙ্গা গ্রামের হাইস্কুলমাস্টার জয়নাল আবেদিনের ছেলে।

এ ঘটনার পর ১ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়  প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সিন্ডিকেট সভায় উক্ত কমিটির কার্যক্রম ও চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। পরে তদন্তকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দিতে উক্ত কমিটিকে আরও একমাস সময় দিয়েছে সিন্ডিকেট। ##

পছন্দের আরো পোস্ট