৩৬ দিন ভিসি বিহীন ইবি ॥ স্থবির কার্যক্রম

IU Logoভিসি ছাড়া টানা ৩৬ দিন চলছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। সাবেক ভিসিকে অব্যাহতি দেয়ার পর নতুন ভিসি নিয়োগের নানা জল্পনা-কল্পনা শুনা গেলেও এখন পর্যন্ত শূণ্য রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গুরুত্বপূর্ণ পদ। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও অর্থ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। এদিকে দ্রুত ভিসি পদে নিয়োগের জন্য জোর দাবী করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, গত ৯ ও ১০ এপ্রিল ইউজিসি থেকে সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিমের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত টিম ক্যাম্পাসে আসে। ওই তদন্ত রিপোর্টে ভিসির বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, নিয়োগে দূর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রমাণ মেলে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ জুন ভিসি ড. আবদুল হাকিম সরকারকে নির্ধারিত মেয়াদের ৫ মাস ২৭ দিন আগে অব্যাহতি দেয় সরকার। এদিকে ভিসির পদচ্যুতির প্রায় ১ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও কাউকে প্রশাসনিক শীর্ষ এপদে কাউকে নিয়োগ দিতে পারেনি সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ এ পদ ফাঁকা থাকায় গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী কার্যকম গুলো আটকে গেছে। শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান, মাদ্রাসা সংক্রান্ত কার্যক্রমসহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক অনেক জরুরী কাজ আটকে গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক অফিস সূত্রে, অধিকাংশ বিভাগের অনার্স ও মাস্টার্সের পরীক্ষার ফলাফল সংক্রান্ত ফাইল, বিভিন্ন বিভাগের ভর্তি, পূনঃ ভর্তি, ভর্তি বাতিল সংক্রান্ত ও আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। একাডেমিক অফিসের নানা গুরুত্বপূর্ণ ফাইল জমে আছে।

Post MIddle

এদিকে দীর্ঘ ৩৬ দিন ভিসি না থাকায় হতাশা প্রকাশ করে মাকসুদুর রহমান, নিশী, আসিফ খান সহ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন-‘অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগে সরকার দ্রুতত্বর নীতিতে কাজ করলেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে উল্টা নীতি দেখছি। ভিসি না থাকায় অভিভাবক শূণতায় আছি আমরা। এভাবে কি ক্যাম্পাস চলতে পারে? সরকারের প্রতি দ্রুত ভিসি নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।’

এছাড়া নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন-‘ টানা ৩৬ দিন ভিসি ছাড়া যে বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে সেটা এই প্রথম দেখলাম। সরকারের উচিত অতিদ্রুত ভিসি পদে নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে সাভাবিক গতি ফিরিয়ে দেয়া।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ বলেন-‘ভিসি না থাকলে প্রশাসনিক কার্যক্রমে সমস্যা দেখা দেবে এটাই সাভাবিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অনেক কাজ আছে যেগুলোর ব্যাপারে ভিসি ছাড়া আর কেউ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। ফলে একরকম অনিশ্চয়তার মধ্যে চলছে সবকিছু।’##

পছন্দের আরো পোস্ট