লেখালেখিতে নিজেকে ব্যস্ত রাখার ইচ্ছা হৃদয়ের

গগণচুম্বী স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। সেই সাথে একটা ভালো সাবজেক্ট। সবই হয়েছে; আর ছোটবেলা থেকে লেখালেখির প্রতি যে অনুরাগ তার বিস্তৃত প্রয়াসও ঘটছে। ভবিষ্যতের স্বপ্নও তাই লেখালেখিতেই।

 

আলী ইউনুস হৃদয়। কুষ্টিয়া শহরের মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। পড়াশুনা করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে। ছোটবেলা থেকে লেখালেখির প্রতি যে প্রবল অনুরাগ ছিলো তাতে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে এই বিভাগ। প্রথম বর্ষের শেষদিক থেকে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় যুক্ত হওয়া। ‘সানবিডি’ অনলাইন পত্রিকায় কাজ শুরু। বর্তমানে কর্মরত আছেন ‘খোলা কাগজ’ ও রাজশাহীর স্থানীয় প্রত্রিকা ‘দৈনিক রাজশাহীতে’। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহীর কমিটির সদস্যও তিনি।

 

Post MIddle

উচ্চ মাধ্যমিক থেকে ইচ্ছা জাগে নিজেকে বিশ্বমানের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলে নিজ দেশকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তার মাধ্যম হিসেবে দেখেছেন সাংবাদিকতাকে। লেখালেখিতে যেমন চৌকস হাত তেমনি রয়েছে প্রখর প্রগতিশীল চিন্তাশক্তি। নিজেকে আবিষ্কার করতে চান, আবিষ্কার করতে চান দেশকে, গোটা বিশ্বকে। তাই ভবিষ্যত লক্ষ্য হিসেবে লেখালেখিই করতে চান। লেগে থাকতে চান গণমাধ্যমের সাথেই।

 

ইতোমধ্যে তার লেখা ফিচারসমূহ প্রকাশিত হয়েছে জাতীয় দৈনিক জনকণ্ঠসহ রাজশাহীর স্থানীয় দৈনিক রাজশাহী ও কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে। লিখতে পছন্দ করেন মানুষ ও প্রকৃতি নিয়ে। লেখালেখির মাধ্যমে তুলে আনতে চান সমাজের নিম্ম শ্রেণীর অবহেলিত মানুষের জীবন চিত্র, উভয় সংকটে পড়া সমাজের মধ্যবিত্ত মানুষের চিত্র। সমাজে যারা না পারে জীবন সংগ্রামের হাল ছেড়ে দিতে আবার না পারে ঠিকমতো ধরে রাখতে। এ মানুষগুলোর জীবন যেমন বিচিত্র, তেমনি তাদের জীবন সংগ্রামও অদ্ভুত। তাই তাদের ভেতরে থেকে সবকিছু উপলব্ধি করে, তাদের সাথে মিশে তুলে ধরতে চান তাদের জীবনাচারণ, সংস্কৃতি ও সংগ্রাম।

 

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া হৃদয়ের হৃদয় থেকে যে স্বপ্ন উদ্ভাসিত তা লেখালেখির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে চান। আর সে পন্থা হিসেবে নিজেকে যুক্ত করেছেন সাংবাদিকতায়। ভবিষ্যতে তাই ব্যস্ত থাকতে চান লেখালেখিতেই।##

পছন্দের আরো পোস্ট