জাহানারা ইমাম স্মৃতিপদক পেল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

রবিবার (২৬.৬.১৬) বিকাল ৪টায় WVA অডিটারিয়ামে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২২তম মৃত্যু-বাষির্কী উপলক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কর্তৃক এক স্মরণ সভা বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

 

অনুষ্ঠানে জনাব মফিদুল হক ‘বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও পাকিস্তান’ শীর্ষক জাহানারা ইমাম স্বারক বক্তৃতা প্রদান করেন। অন্যান্যের মধ্যে সাংবাদিক কামাল লোহানী, শাহরিয়ার কবির, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ বক্তব্য রাখেন।

 

Post MIddle

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে “জাহানারা ইমাম স্মৃতি পদক” প্রদান করা হয়। প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, এ পদক প্রাপ্তি আমাদের জন্য আনন্দের ও আমাদের কাজের স্বীকৃতি। আমরা স্নাতক (পাস) ও অনার্স পর্যায়ে কলা, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, বাণিজ্য নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীদের জন্য ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস’ শিরোনামে একটি ১০০ নম্বরের কোর্স অবশ্য পাঠ্য করাসহ আরো কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি।

 

এ পদক প্রাপ্তি আমাদের দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিল। আমরা একটি যুদ্ধের মধ্যে আছি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অনুষ্ঠান হলেই এ যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে না। বাংলাদেশে সকল নাগরিক বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্ত্বা সাম্প্রদায়িতকতা সম্পূর্ণ নির্মূল এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ সমাজ-রাষ্ট্রীয় জীবনে প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত এ যুদ্ধ চলবে।##

পছন্দের আরো পোস্ট