সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণী

স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ‘সুপ্ত প্রতিভা’ খুঁজতে জাতীয়ভাবে আয়োজিত সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার ঢাকার ওসমানী মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে ২০১৫ ও ২০১৬ সালের বিজয়ী ২৪ প্রতিযোগীর গলায় পদক পরিয়ে দেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রত্যেক মেধাবীকে দেওয়া হয় সনদ ও এক লাখ টাকার চেক।

 

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি সব থেকে মেধাবী হলো আমার দেশের ছেলেমেয়েরা। কিন্তু বিকশিত হওয়ার সুযোগ তাদের দিতে হবে।যারা পুরস্কার পেয়েছে এবং যারা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সত্যিই উজ্জ্বল। পুরস্কার বিতরণী শেষে এই মেধাবীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ছবিও তোলা হয়।

 

ষষ্ঠ থেকে অষ্টম, নবম-দশম এবং উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা তিন ভাগে ভাগ হয়ে ভাষা ও সাহিত্য, বিজ্ঞান, গণিত ও কম্পিউটার এবং বাংলাদেশ স্টাডিজ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। চলতি বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে উপজেলা পর্যায়ে ১৫, ১৬, ১৮ ও ১৯ মার্চ; জেলা পর্যায়ে ২২ মার্চ, ঢাকা মহানগরে ২৩ মার্চ, বিভাগীয় পর্যায়ে ২৪ মার্চ এবং জাতীয় পর্যায়ে ৩১ মার্চ সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা হয়। কেবল জাতীয় পর্যায়ের সেরাদের নয়, প্রতিযোগিতায় আঞ্চলিক পর্যায়ের বিজয়ীদেরও পুরস্কৃত করা হয়েছে।

 

উপজেলা পর্যায়ের সেরা ১২ জনের সবাইকে এক হাজার, জেলা পর্যায়ে সেরাদের দেড় হাজার এবং বিভাগীয় পর্যায়ে সেরাদের দুই হাজার টাকা করে পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৩ সাল থেকে দেশব্যাপী সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে।

 

এবারের সেরা ১২:

রাজধানীর রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা শেষে চলতি বছরের সেরা মেধাবীদের নাম ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুর ইসলাম নাহিদ।

বিষয়: গণিত ও কম্পিউটার

ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি গ্রুপ: শ্বাশত সাহা, অষ্টম শ্রেণি রংপুর জিলা স্কুল; রংপুর বিভাগ

নবম থেকে দশম শ্রেণি গ্রুপ: শৌর্য দাশ, দশম শ্রেণি, কুমিল্লা জিলা স্কুল; চট্টগ্রাম বিভাগ।

একাদশ থেকে দ্বাদশ গ্রুপ: শেখ আজিজুল হাকিম, একাদশ শ্রেণি, নটরডেম কলেজ; ঢাকা মহানগরী।

বিষয়: দৈনন্দিন বিজ্ঞান বা বিজ্ঞান
ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি গ্রুপ: মো. মকলেসুর রহমান, অষ্টম শ্রেণি, আমেনা-বাকি রেসিডেনশিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ দিনাজপুর; রংপুর বিভাগ।

Post MIddle

নবম থেকে দশম শ্রেণি গ্রুপ: শতাব্দী রায়, নবম শ্রেণি, জয়পুরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়; রাজশাহী বিভাগ।

একাদশ থেকে দ্বাদশ গ্রুপ: মাহিয়া আহমেদ, একাদশ শ্রেণি, সরকারি আযিযুল হক কলেজ, বগুড়া, রাজশাহী বিভাগ।

বিষয়: ভাষা ও সাহিত্য

ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি গ্রুপ: নাহিয়ান ইসলাম ইনান, অষ্টম শ্রেণি, ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, ময়মনসিংহ বিভাগ।

নবম থেকে দশম শ্রেণি গ্রুপ: সিরাতল মোস্তাকিম শ্রাবণী, দশম শ্রেণি, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ; ঢাকা মহানগরী।

একাদশ থেকে দ্বাদশ গ্রুপ: মৌমিতা রহমান ঈপ্সিতা, একাদশ শ্রেণি, লালমনিরহাট মহিমা খাতুন সরকারি মহিলা কলেজ; রংপুর বিভাগ।

বিষয়: বাংলাদেশ স্টাডিজ ও মুক্তিযুদ্ধ

ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি গ্রুপ: মোতাকাব্বির বিন মোতাহার, সপ্তম শ্রেণি ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়; চট্টগ্রাম বিভাগ।

নবম থেকে দশম শ্রেণি গ্রুপ: নাজমুস সাকিব, দশম শ্রেণি, কুমিল্লা জিলা স্কুল; চট্টগ্রাম বিভাগ।

একাদশ থেকে দ্বাদশ গ্রুপ: ঐশ্বর্য সাহা উর্মি, একাদশ শ্রেণি, বিয়ানী বাজার সরকারি কলেজ; সিলেট বিভাগ।

এ বছর সারা দেশের দুই লাখ শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ১০৮ জন চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগীয় অংশ নেয়।#

পছন্দের আরো পোস্ট