আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওরিয়েন্টেশন

AUSTলক্ষ্যে পৌঁছতে হলে শিক্ষার্থীদেরই বেশি শ্রম দিতে হবে। অনেক প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নিজস্ব মেধা কাজে লাগিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। শনিবার আহ্্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসেপশন অ্যান্ড ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি হয়েছেন তারা খুবই মেধাবী এবং ইচ্ছে করলে তারা অনেক বড় হতে পারবেন বলেও তারা আশা প্রকাশ করেন।

 

নতুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম বলেন, তোমাদের সৌভাগ্য তোমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছ। তিনি বলেন, তোমরা যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হয়েছ; তোমরা সবাই একদিন ইঞ্জিনিয়ার হবে। জীবনে অনেক বড় হওয়ার সুযোগ তোমাদের রয়েছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, যে মহান সাধকের নামে এই প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সেই হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রহ.) এর জীবনের ব্রতই ছিল শিক্ষার বিস্তারে কাজ করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তার ঐতিহাসিক ভূমিকা ও অবদানের কথা আমাদের অনেকেরই হয়তো জানা নেই। অবিভক্ত বাংলায় শিক্ষা বিস্তারে অনন্য অবদানের জন্য তিনি ‘খানবাহাদুর’ উপাধি লাভ করেছিলেন। তিনি ছিলেন সেই শিক্ষাপ্রেমিক মহান পুরুষ, যিনি ১৮৯৬ সালে ২ হাজার টাকা বেতনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে মাত্র ৫০ টাকা বেতনে মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতায় যোগদান করেছিলেন।

 

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কাজী রফিকুল আলম বলেন, তোমাদের নিয়ে আমাদেরও অনেক স্বপ্ন আছে। আশা-প্রত্যাশাও অনেক বড়। তোমরা মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করলে আমাদের সেই স্বপ্ন তোমরা পূরণ করতে পারবে। এজন্য ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পার্কে যাওয়া যাবে না। ঠিকমতো ক্লাস করলে চার বছরেই সফলভাবে কোর্স শেষ করতে পারবে।

 

Post MIddle

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ডা. কাজী শরিফুল আলম বলেন, তোমরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছ সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তোমরা আগে জান। হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রহ.) এর মূল কথাই ছিল ‘স্র্রষ্টার ইবাদত, সৃষ্টির সেবা’। তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১২ হাজার শিক্ষার্থী পাস করে বের হয়েছে। আটটি সমাবর্তনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। ২০০৮ সালে তেজগাঁওয়ের নিজস্ব ভবনে চালু হওয়া এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্তমানে ৭ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। এখানে নিয়মের বাইরে কোনো কাজ হয় না। সরকারের কাছ থেকে ২০১৩ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী সনদ পেয়েছে।

 

নতুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সভাপতির বক্তব্যে আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ এম এম সফিউল্লাহ বলেন, চার বছর পর তোমরা সবাই ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বের হবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তিনি বলেন, যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছ তাদের মেধা কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, তোমরা যদি ক্লাসে মনোযোগীও হও, সবকিছু রপ্ত করতে পারবে না। পাঠ্যবইয়ে যা আছে সেখানেও পূর্ণ জ্ঞান পাবে না। এর জন্য তোমাদের চিন্তা করতে হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে যখন শুনি আমাদের ছেলেমেয়েরা ভালো করছে, তখন খুব ভালো লাগে। টার্গেটে পৌঁছতে হলে শিক্ষার্থীদেরই কষ্ট করতে হবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ রুবাইয়্যাত চৌধুরী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোঃ আমিরুল আলম খান, ফ্যাকালটি অব আর্কিটেক্টের ডিন অধ্যাপক ডা. এম এ মুকতাদির।#

 

আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট