প্রাথমিকে প্যানেলভুক্ত ২৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ 

primari-220150509141612শেষ পর্যন্ত প্যানেলভুক্ত প্রায় ২৮ হাজার প্রার্থীর অপেক্ষার অবসান হচ্ছে। আদালতের আদেশের আলোকে এসব প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য ইতিবাচক মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। বিপরীত দিকে উচ্চ আদালতের এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে নওগাঁর ১০ জন প্রার্থীকে নিয়োগের আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

 

এ দুটি পৃথক বিষয়ের কারণে প্যানেলভুক্ত সব প্রার্থীরই নিয়োগের দ্বার উন্মুক্ত হয়ে গেছে। এখন কেবল মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা। সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য জানায়।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন খালিদ বলেন, ‘আমাদের প্রচুর পদ খালি আছে। পরীক্ষার মাধ্যমে যারা প্যানেলভুক্ত আছেন তাদের অনেকের ব্যাপারে আদালতের রায় আছে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিরও সুপারিশ আছে। তাই রায়ের আলোকে প্যানেলভুক্তদের কী করে নিয়োগ দেয়া যায়, সে বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে।

 

Post MIddle

তারা নিয়োগের বাধ্যবাধকতা আছে মর্মে মতামত দিয়েছে। এ অবস্থায় পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।’ এদিকে একটি মামলার হাইকোর্টের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ জনকে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, ২৪ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মিজানুর রহমানের স্বাক্ষরে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। এতে আদালতের ২০১৪ সালের ১৮ জুনের আদেশ বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। ওই আদেশ অনুযায়ী রিটকারী শফিকুল ইসলাম, হাফিজ আল আসাদ, রওশন জাহান, রওনক জাহান, লতিফা হেলেন, মঞ্জুয়ারা খাতুন, খালেদুজ্জামান, মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার, আবুল খায়ের ও মঞ্জুর মোর্শেদ এখন নিয়োগ পাবেন।

 

এ মন্ত্রণালয়ের আইন শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, ২০১৪ সালের ১৮ জুন এসব প্রার্থীকে ৩০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। মন্ত্রণালয় তা না করে সময়ক্ষেপণ করে। একপর্যায়ে ২০১৫ সালের ৭ মে এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। কিন্তু তা খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। ওই রায়ই এখন বাস্তবায়নের আদেশ দিল মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক মো. আলমগীর বলেন, ‘রিটকারী ১০ জনের নিয়োগের বিষয়ে মতামত চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আমরা ফাইল পাঠিয়েছিলাম। মতামত পেয়েছি। তা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চলছে।’

 

এদিকে উল্লিখিত মামলার পর আরও অসংখ্য রিট করেন নিয়োগবঞ্চিত প্রার্থীরা। এর মধ্যে এ সংখ্যা কত তা অবশ্য কেউ বলতে পারছেন না। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এ সংখ্যা অন্তত ১২ হাজার। এর মধ্যে তিনটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর ২৬৮ জন নিয়োগের রায় দেন। এদের রায়ের বিরুদ্ধে অবশ্য গত মাসের শেষদিকে সরকারের পক্ষে আপিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

যদিও আইন অনুযায়ী আপিল চাইলে তা রায়ের দুই মাসের মধ্যে দাখিল করতে হবে। কিন্তু ১৫ মাস পর আপিল দায়ের নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়টির অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্যানেল করা হয়েছিল সদ্য জাতীয়করণ করা বিদ্যালয়ের নিয়োগের জন্য। এসব বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার পদ শূন্য পদ আছে। এসব পদে যদি নিয়োগ করা যায়, তাহলে শিক্ষক সংকট দূর হবে। মন্ত্রণালয় বিষয়টি ইতিবাচকভাবেই দেখছে।

পছন্দের আরো পোস্ট