চুয়েটের তৃতীয় সমাবর্তন আজ

downloadবাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) তৃতীয় সমাবর্তন আজ সোমবার। রাষ্ট্রপতি ও চুয়েটের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। ইতিমধ্যে দুটি হেলিপ্যাড তৈরি ও সফল মহড়া হয়েছে চুয়েট ক্যাম্পাসে। সমাবর্তন উপলক্ষে চুয়েট সেজেছে বর্ণিল সাজে। কয়েকদিন ধরেই রাতের বেলা পুরো এলাকা অন্য রূপ পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জায়। চুয়েট কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ৩ হাজার অতিথির জন্যে তৈরি হয়েছে প্যান্ডেল।

 

রোববার সমাবর্তনের সর্বশেষ প্রস্তুতি পরিদর্শনে চুয়েট ক্যাম্পাসে আসেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম-৬ রাউজান আসনের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। এ সময় চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

Post MIddle

চুয়েটের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান জানান, ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১ হাজার ৬০৩ জনকে ডিগ্রি দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।এর মধ্যে স্নাতকে ১ হাজার ৫৬৪ জন, মাস্টার্সে ৩২ জন, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা চারজন এবং পিএইচডি ডিগ্রি পাচ্ছেন তিনজন।এর মধ্যে গোল্ড মেডেল পাবেন চারজন।সমাবর্তনে এবারই প্রথম পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগ থেকে প্রকৌশল ডিগ্রি দেওয়া হবে।সমাবর্তন শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।মূল অনুষ্ঠান শেষে সাবেক গ্রাজুয়েটদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান হবে।

 

সমাবর্তন বক্তা থাকবেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী। বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। বক্তব্য রাখবেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।সমাবর্তন মঞ্চে থাকবেন চুয়েটের পুরকৌশল অনুষদের ডিন ড. মো. হজরত আলী, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. আশুতোষ সাহা, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. মো. মাহবুবুল আলম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূঁইয়া, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন ড. মোস্তাফা কামাল ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।

 

চুয়েটের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৬৮ সালে চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে। শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক সংলগ্ন ১৭১ একর জমির ওপর ক্যাম্পাসটি অবস্থিত। শুরুতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির অধীন কলেজটি পরিচালিত হতো। ১৯৮৬ সালে দেশের চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (বিআইটি) রূপান্তর করলে চুয়েটও বিআইটিতে রূপান্তরিত হয়। সর্বশেষ ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিআইটি, চট্টগ্রামকে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়।

 

পছন্দের আরো পোস্ট