প্রচারিত প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ ইবি প্রশাসনের

IUটিভি চ্যানেলে” গত ১৫ ফেব্রুয়ারি “অনিয়ম আর দূর্নীতির কারণে মুখ থুবড়ে পড়তে বসেছে কুস্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা” শীর্ষক প্রচারিত প্রতিবেদনটির প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রতিবেদনটি ত্রুটিপূর্ণ, অসত্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে মানহানিকর বলে লেখাপড়া২৪.কমে প্রেরীত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।

 

কর্তৃপক্ষের বক্তব্য 
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন যাবৎ লক্ষ্য করে আসছে যে, একটি বিশেষ মহল ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়া ব্যবহার করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। মহলটি মনগড়া তথ্য পরিবেশন করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলরের সম্মানিত চেয়ারকে কালিমালিপ্ত করছে যা প্রকারান্তরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করছে। স্বাধীনতাত্তোর ১৯৭৯ সনে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে প্রথম প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে যখনই কর্তৃপক্ষ কোন ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা মনোপুত না হলেই মহলটি তাদের স্বভাবসুলভ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে অন্যায় ফায়দা হাসিলের প্রয়াস নিয়েছে।

 

গত ১৫/২/২০১৬ তারিখে তারই ধারাবাহিকতায় একই মহলের চক্রান্তে এসএটিভি চ্যানেলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। প্রচারিত প্রতিবেদনটির প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রতিবেদনে ভাইস চ্যান্সেলরের অফিসকক্ষ হিসাবে যে তালাবদ্ধ কক্ষচিত্র দেখানো হয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অফিসতো নয়ই বরং প্রশাসন ভবনের কোন কক্ষ/অংশই নয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অথচ সংবাদচিত্রে অন্য কোন স্থানের চিত্রধারণ করে তা প্রচার করা হয়েছে যা অনৈতিক ও দুঃখজনক। অন্যদিকে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার নিয়মিত অফিস করছেন এবং অফিস চলাকালে তার কক্ষ কখনই তালাবদ্ধ থাকেনা।

 

Post MIddle

আরও উল্লেখ থাকে যে, উক্ত প্রচারিত প্রতিবেদনেস আন্দোলন সংশ্লিষ্ট যে সকল ফুটেজ দেখানো হয়েছে তার একটিও সাম্প্রতিককালের নয়। বরং ফুটেজগুলো ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বরের বাস দূর্ঘটনায় একজন ছাত্র নিহতের ঘটনা কেন্দ্রিক। সুতরাং প্রতিবেদনটি বিদ্বেষপ্রসূত ও সত্যের অপলাপমাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কোন প্রকার আন্দোলনে নেই। এমনকি আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়া ও সেশন জটের মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। বরং যে কোন সময়ের তুলনায় বর্তমান ক্যাম্পাসের কার্যক্রম স্বাভাবিক ও গতিশীল রয়েছে। কিছু কিছু বিভাগে পূর্ব থেকেই সেশনজট রয়েছে, যা নিরসনে ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। আশা করা যায় অচিরেই এ সেশনজট অনেকাংশে কমে আসবে।

 

প্রতিবেদনে ৪ ফেব্রুয়ারি ৭০ জনের নিয়োগ সংক্রান্ত যে তথ্য প্রচার করা হয়েছে তা আদৌও প্রশাসনের কোন পরিকল্পনায়ই ছিল না। উল্লেখ্য উক্ত সভাটি বিশেষ সিন্ডিকেট সভা ছিল, সেখানে নিয়োগের প্রসঙ্গটি অবান্তর ও কল্পনাপ্রসূত। বিষয়টি মহল বিশেষের অপপ্রচার মাত্র। প্রকৃতপক্ষে বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলরের সময়কালে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভ্যন্তরিণ পদোন্নতি/আপগ্রেডিং ছাড়া কোন রুপ নতুন কর্মকর্তা/ কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এরূপ ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন দুঃখজনক।

 

প্রতিবেদনে এ ধরণের বিভ্রান্তিমুলক তথ্য প্রচারিত হওয়ায় শুধু ভাইস চ্যান্সেলরেরই ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়নি বরং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েরও ব্যাপক সুনামহানি হয়েছে।

 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমাদের সকলের উচিত এর সুনাম বৃদ্ধি ও রক্ষা করা। এ-লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট তথ্য নির্ভর সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উন্নয়নে সহযোগিতা কামনা করছে।

 

 

পছন্দের আরো পোস্ট