গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে জাপানি ভাষা পরীক্ষা

Green_University_249364188জাপানি ভাষায় দক্ষতার আন্তর্জাতিক পরীক্ষা ‘নাট টেস্ট’ দিতে এখন আর নেপাল যেতে হচ্ছে না বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের। বরং ভারত থেকেও এই পরীক্ষায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন শিক্ষার্থীরা। আর জাপানে পড়াশোনায় ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের এবং ভিসা আবেদনে আগ্রহীদের এ সুযোগ করে দিচ্ছে একমাত্র গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

 

রোববার রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস জুড়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে নাট টেস্ট দক্ষতার পরীক্ষা। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী এ পরীক্ষায় ৬১৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। ২০১৬ সালের প্রথম পরীক্ষা এটি। প্রতি ২ মাস অন্তর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

 

শিক্ষার্থীদের জন্য জাপানে উচ্চ ডিগ্রি নেয়ার রয়েছে অপূর্ব সুযোগ। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে শিক্ষার্থীদের সংকট রয়েছে সেখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। জাপানে নিয়মিত মানসম্পন্ন শিক্ষার পাশাপাশি রয়েছে পার্ট টাইম চাকরিরও সুবিধা। সেখানে যে কোন একটি কোর্স করে পরবর্তী ক্যারিয়ারও বেছে নেয়া যায়। সার্বক্ষণিক চাকরির পাশাপাশি ৫ বছরের মধ্যে নাগরিকত্বও লাভ করা যায়। কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে জাপানে গড়ে উঠতে পারে উজ্জ্বল ভবিষ্যত।

 

গ্রিন ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি জাপানের সেনমন কিয়োকিউকু পাবলিশিংয়েরর সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় গ্রিন ইউনিভার্সিটি দেশে একমাত্র নাট টেস্ট পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। ভোকাবোলারি, লিসেনিং, গ্রামার ও রিডিং মডেল বিশিষ্ট এ নাট টেস্ট পরীক্ষার মাধ্যমে জাপানে উচ্চ শিক্ষা ও চাকরিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের দক্ষতা মূল্যায়ন করা হয়।

 

তিনি বলেন, পূর্বে এ অঞ্চলে শুধু নেপালেই নাট টেস্ট অনুষ্ঠিত হতো। প্রচুর ভারতীয় শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে নেপাল যেতে হতো। এখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও আসছে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা।

 

Post MIddle

মাজহারুল ইসলাম বলেন, এই পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার কিছু শর্ত রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যকার দূরত্ব প্রায় ৪ মিটার হতে হয়। ফলে যে শ্রেণী কক্ষে আমরা সাধারণ সময়ে ৪০ জনের পরীক্ষা নেই, নাট টেস্টে সেটি ১৬ জনের বেশি সম্ভব হয় না। তাই রোববার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে। এবং সকলেই এ পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।

 

গ্রিন ইউনিভার্সিটির ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারের প্রধান সহকারী অধ্যাপক সিরাজুম মুনিরা বলেন, বছরে ৬ বার এই টেস্ট নেয়া হয়। কেবল গ্রিন ইউনিভার্সিটিই এই টেস্ট নিয়ে থাকে। এছাড়াও জাপানি ভাষা শিক্ষার কোর্সও চালু রয়েছে। জাপানি ভিসা পেতে এ দক্ষতা অর্জন করতে হয়।

 

তিনি বলেন, নাট টেস্টের ৫ টি লেভেল রয়েছে। জাপানের ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুলে ভর্তি হতে হলে এন৫ এ উত্তীর্ণ হতে হয়। এন ৪ এ উত্তীর্ণ হলে স্কলারশিপের সুবিধা পাওয়া যায়। এসব লেভেলের ওপর ভিত্তি করে পয়েন্ট রয়েছে। যেটা উচ্চ শিক্ষা, চাকরি এবং নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে।

 

জাপানি ভাষা দক্ষতা মূল্যায়নের আরেকটি পরীক্ষা রয়েছে জেএলপিটি। কিন্তু সেটি শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বছরে দু’বার অনুষ্ঠিত হয়। আর নাট টেস্ট হয় ৬ বার।দেশের যে কোন ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব বা সেন্টার থেকে জাপানি ভাষা শিখলেও গ্রিন ইউনিভার্সিটিতেই এই টেস্ট দিতে হবে। পরীক্ষায় অংশ নেয়ার ফি আড়াই হাজার টাকা।

 

সারা দেশ থেকেই পরীক্ষার্থীরা এ টেস্টে অংশ নেন। গ্রিন ইউনিভার্সিটি ২ মাসে নাট প্রস্তুতি কোর্স পরিচালনা করছে। এর ফি ৬ হাজার টাকা।এই কোর্সে জাপানি ভাষা পড়া, শব্দ, ব্যাকরণ, কম্প্রিহেনশন, নাট টেস্টের সলিউশন, জেলপিটি এবং মক টেস্ট অন্তর্ভুক্ত।

 

এছাড়াও ১৫০ ঘণ্টার এলিমেন্টারি কোর্সের ফি ১৪ হাজার টাকা। এ কোর্সে বেসিক গ্রামার ছাড়াও হিরাগানা, কাতাকানা লিখন পদ্ধতি, কানজি, টেক্সট বইয়ের ২৫ অধ্যায়ের আলোচনা অন্তর্ভুক্ত। চলতি বছরের পরবর্তী নাট টেস্টের সময়গুলো হচ্ছে, এপ্রিলের ১০ তারিখ, জুনের ১৯, আগস্টের ১৪, অক্টোবরের ১৬ এবং ডিসেম্বর মাসের ১১ তারিখ।

 

 

পছন্দের আরো পোস্ট