ডিআইইউতে পর্যটনশিল্প বিষয়ক গবেষনাপত্র উপস্থাপন

daffodilড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইন্সিটিটিউট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের যৌথ উদ্যেগে ‘‘ট্রেড ইন সার্ভিসেস: বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রতি বিদেশী পর্যটকদের দৃষ্টিভঙ্গি, বিদেশেী পর্যটকদের উপর পরিচালিত গবেষনা ” শীর্ষক গবেষনাপত্র উপস্থাপন (৯ ফেব্রুয়ারী) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যান্কুইট হলে অনুষ্ঠিত হয়। এই যৌথ গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রতি বিদেশীদের মনোভাব এবং আগ্রহের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ন দিক তুলে ধরা হয়। স্টেক হোল্ডার যারা বাংলাদেশের প্রচার এবং পর্যটন শিল্প সংরক্ষনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাদের সঙ্গে এই গবেষনা এবং শুপারিশগুলো ভাগাভাগি করে নেওয়া হয় এ উপস্থাপনার মাধ্যমে।

 

বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন এবং পর্যটন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, এমপি এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইন্সিটিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাকের আহমেদ। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউছুফ এম. ইসলাম, এ্যামিরিটার্স প্রফেসর ড. আমিনুল ইসলাম, বানিজ্য ও অর্থনীতি অনুষদের ডীন প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি বিভাগের প্রধান মাহবুব পারভেজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন।

 

অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন এবং পর্যটন মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব রফিকুজ্জামান, ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি প্রফেসর ড. আকবর উদ্দিন আহমেদ, পাতা (চঅঞঅ) বাংলাদেশের মহাসচিব তৌফিক রহমান, ইত্যিহাদ এয়ার ওয়েজের মহাব্যাবস্থাপক হানিফ জাকারিয়া, ভ্রমণ বাংলাদেশের সম্পাদক আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মুহাম্মদ মওদুদুর রশিদ সাফদার এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান খান কবির।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, সরকার সাসটেইনবেল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) বাস্তবায়নে পর্যটনকে অন্যতম সেক্টর হিসেবে নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্যে ২০১৬ কে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করে ২০১৮ পর্যন্ত এ বর্ষের কর্মসূচিসমূহ অব্যাহত থাকবে।

 

Post MIddle

সরকার বাংলাদেশকে এমনভাবে সাজাতে চায় যাতে বিশ্ববাসী এক নতুন বাংলাদেশকে দেখতে পাবে। পর্যটন বাংলাদেশের ভাবমূতি বৃদ্ধি, আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিরাট অবদান রাখতে পারে। ইতোমধ্যে বিশে^র চেইন হোটেলগুলো বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছে যা দেশে পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধির স্মারক। সরকার ইকো ট্যুরিজম, হেলথ ট্যুরিজম, আর্কিওলোজিক্যাল ট্যুরিজম ও কমিউটিটি ট্যুরিজমের প্রসারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। পর্যটনকে আরও জনপ্রিয় ও অর্থবহ করতে এ ধরণের রিসার্চ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।

 

সভাপতির বক্তব্যে মোঃ সবুর খান বলেন, যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে গার্মেন্টস্ সেক্টরের পরে পর্যটন শিল্প বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম উৎস হতে পারে। ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে পর্যটন বাংলাদেশের জন্য একটি অপার সম্ভাবনাময় খাত। তিনি এ শিল্পের বিকাশে যথাযথ পরিরকল্পনা এবং নিদিৃষ্ট সময়ের মধ্যে এর বাস্তবায়নের পাশাপাশি এ সেক্টরে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, সম্ভাবনাময় এ খাতকে এগিয়ে নিতে অর্থমন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রীকে আহ্বান জানান।

 

গবেষণা কার্যক্রম পেিচালনা করে বিএফটিইয়ের গবেষণা সহযোগী শোয়েব আক্তার, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির লেকচারার মিসেস বিপাশা মতিন, প্রশেনজিৎ সাহা, কামরুজ্জামান এবং অষ্ট্রেলিয়ার মোনাস ইউনিভার্সিটি মিস সামিনা আলী।

 

লেখাপড়া২৪.কম/ডিআইইউ/পিআর/এমএএ

পছন্দের আরো পোস্ট