দক্ষিণ এশিয়ার ৩৬ মিলিয়ন শিশু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বঞ্চিত

shishu-children2দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুরা তাদের মৌলিক অধিকার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । আর শিক্ষার অধিকার বঞ্চিত এমন শিশুর সংখ্যা প্রায় ৩৬ মিলিয়ন শিশু। সম্প্রতি প্রকাশিত ইউনিসেফ এর ‘এডুকেট অল গার্লস এন্ড বয়েজ ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

 

প্রতিবেদনে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত শিশু শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তুলনামূলক উন্নয়ন ও অবনয়ন এর চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের দেশগুলোর তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে জনসংখ্যা বেশী। স্বাভাবিকভাবেই স্কুল পড়ুয়া বয়সের শিশু-কিশোরের সংখ্যাও বেশী । কিন্তু সুযোগ-সুবিধার অপ্রতুলতা ও নিজেদের উদাসীনতার জন্য অনেকেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

 

দক্ষিণ এশিয়ার ৯.৮ মিলিয়ন প্রাথমিক শিক্ষাযোগ্য শিশু কখনো স্কুলেই যায় না। ২৬.৫ মিলিয়ন নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষাযোগ্য কিশোর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা পায় না। আর অস্থীতিশীল পরিবেশ ও বিভিন্ন দ্বন্দ্ব-সংঘাতের জন্য ৫.৩ মিলিয়ন শিশু স্কুলে যেতে পারছে না।

 

Post MIddle

মোট শিশুর ৫৭% কখনো স্কুলের সাথে পরিচিতই হয় না। আবার যে সব শিশু স্কুলে ভর্তি হয়, তাদের মধ্যে ১৫% শিশু স্কুল বয়সের অনেক পরে স্কুলে ভর্তি হয়। আর স্কুলে ভর্তি হওয়া শিশুদের মধ্যে ২৮% শিশু পড়ালেখা শেষ না করে মাঝপথেই স্কুল ছাড়ে ।

 

প্রতিবেদনে শিশুদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ার জন্য দারিদ্র, অভিভাবকের উদাসীনতা ও নারীবেষম্যকেই প্রধান সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কেননা শিক্ষা বঞ্চিত এসব শিশুরা অধিকাংশ সময় শিশুশ্রমের মাধ্যমে পরিবারের অর্থনৈতিক সহায়তা করে। এছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে মেয়ে-শিশুরা এখনও তাদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

 

তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি চোখে পড়ার মত। শিশুর পুষ্টি চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে আগের তুলনায় অনেক উন্নতি হয়েছে। স্কুলপূর্ব পারিবারিক শিক্ষার হারও অনেক বেড়েছে। আর স্কুল গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে জনসংখ্যা বেশী হওয়ার কারণে হার কম।#

 

লেখাপড়া২৪.কম/আরএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট