মন্ত্রণালয়কে তথ্য দেয়নি টিআইবি

tibবেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি : মন্ত্রণালয়কে তথ্য দেয়নি টিআইবি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত অনিয়ম-দুর্নীতির কোনো তথ্য-প্রমাণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দেয়নি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তবে সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়ে টিআইবির কাছে দেওয়া চিঠির জবাব নির্ধারিত তিন দিনের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।

গত ১৪ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক চিঠিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের কাছে চারটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়। এগুলো হচ্ছে- টিআইবির পক্ষ থেকে গবেষণা চালানো ২২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা, গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা ঢাকায় অবস্থিত ৯৪টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির তথ্যদাতাদের নাম, পদবি ও তালিকা এবং অর্থ লেনদেনে জড়িত ব্যক্তিদের পরিচিতি, তথ্যদাতাদের নাম ও ঠিকানা।

Post MIddle

সূত্র জানায়, ঢাকায় সরকারি ও বেসরকারি ৯৪টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠির জবাবে টিআইবি তা মুদ্রণ প্রমাদ বলে উল্লেখ করেছে। এই মুদ্রণ প্রমাদের জন্য টিআইবির পক্ষ থেকে দুঃখও প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য তিনটি বিষয় সম্পর্কে কোনো তথ্য না দিয়ে বলা হয়েছে, তথ্যদাতাদের কোনো সম্পর্কে কোনো তথ্য অন্য কোথাও দেওয়া হবে না বলে তাদের কাছে টিআইবি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সুতরাং তাদের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়।

৩০ জুন টিআইবি ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে ২২টি নির্বাচিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজমান নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে। এতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের সনদ অর্জন পর্যন্ত পদে পদে অবৈধ অর্থ লেনদেন এবং অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত একাংশ জড়িত’ বলে অভিযোগ করা হয়।

 
স: ইএইচ

পছন্দের আরো পোস্ট