ব্র্যাকে কোয়ালিটি জার্নাল পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদক।

অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষ এবং ফলপ্রসু গবেষণায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদের “কোয়ালিটি জার্নাল পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২৪” প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার, ২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির পরিবেশবান্ধব নতুন ক্যাম্পাসে এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রধান অতিথি হিসেবে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। এই সময় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ, ট্রেজারার প্রফেসর মাহবুব রহমানমহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

এই কোয়ালিটি জার্নাল পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড উদ্ভাবনের সংস্কৃতি, গবেষণা এবং সামাজিক দায়িত্বশীলতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অঙ্গীকারের একটি নিদর্শন। অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষ এবং সামাজিক প্রভাব অর্জনের ক্ষেত্রে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি গবেষণাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এরই স্বীকৃতিস্বরুপ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এই ফলপ্রসু গবেষণাগুলোকে সম্মাননা জানাতে এই পুরস্কার প্রদান করেছে। এই বছর স্কোপাস জার্নালের প্রথম প্রান্তিকের শীর্ষ ১০ শতাংশে থাকা ৭৮টি গবেষণার জন্য ৪৩ জন গবেষককে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

Post MIddle

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্থপতি ইয়াফেস ওসমান তার বক্তব্যে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির গবেষণা অগ্রযাত্রায় অবদান রাখা সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, “গবেষকদের ধারাবাহিকভাবে উদ্ভাবনের সাধনায় নিয়োজিত থাকতে হবে। সেখানে বিরতি দেওয়ার অর্থ হলো যা অর্জিত হয়েছে তা হারিয়ে ফেলা। অজানাকে জানার কোনো সীমা থাকতে পারে না। তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবাইকে সর্বদা জ্ঞানের অন্বেষণ করতে আহ্বান জানান। সেই সাথে তিনি জ্ঞান আহরণে সবসময় সবার চেয়ে এগিয়ে থাকারও পরামর্শ দেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির গবেষকদের জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সহায়তা করবে বলেও আশ্বাস দেন স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে বিশ্বের ইতিবাচক পরিবর্তন সাধনে শিক্ষা ও গবেষণাকে কাজে লাগানোর  বিষয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অঙ্গীকার সুস্পষ্ট করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ। তিনি বলেন, “গবেষণা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রাণ। গবেষণা এবং সামাজিক সমস্যাগুলির সৃজনশীল সমাধানে আমরা আমাদের এই শিক্ষক এবং গবেষকরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা নিরলসভাবে এই কাজ করে যাচ্ছেন, এজন্য আমরা অত্যন্ত গর্ববোধ করি। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে আমরা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিকে এই রিজিওনের শীর্ষ এবং গ্লোবাল সাউথের স্বনামধন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।”

পাবলিকেশন্স অ্যাওয়ার্ডঅনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন রিসার্চ মেট্রিক্স কমিটির চেয়ার এবং ডিপার্টমেন্ট অফ ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রফেসর ড. একেএম আবদুল মালেক আজাদ। তিনি তার বক্তব্যে গবেষণা প্রচেষ্টার উৎকর্ষকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতিশ্রুতির প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। এবং সেই সাথে মানসম্পন্ন গবেষণাকে উৎসাহিত করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহীত উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

জ্ঞানের বিকাশ, উদ্ভাবনকে এগিয়ে নেওয়া এবং ফলপ্রসু গবেষণা উদ্যোগের মাধ্যমে সামাজিক কল্যাণে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতিতে অবিচল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। গবেষণায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দারিদ্র্য বিমোচনে জাতিসংঘ ঘোষিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার এসডিজি ১ অর্জনে বিশ্বের সেরা পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি।

পছন্দের আরো পোস্ট