ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফিতে দূর্দান্ত নুরুন্নাহার নাফিসা
সায়ফুল হক সিরাজী।
ফটোগ্রাফিকে কেউ পেশা আর কেউ নেশা হিসেবে বেছে নেন। নুরুন্নাহার নাফিসা পরেরটি বেছে নিয়েছেন। স্বামী,সন্তান আর সংসার কে সুন্দর করে সামলিয়ে ফটোগ্রাফির জগতে দাপুটে বিচরন তার। বেছে নিয়েছেন ফটোগ্রাফীর সবচেয়ে কঠিন কাজটি।। ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি। সবচেয়ে দূধ্ধর্ষ ও দূ;সাহসিক একটি ক্ষেত্র ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি যেখানে মেয়েরা তো নয়ই ছেলেরাও কম পা বাড়ায়।
ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাওয়া খাওয়া ফেলে শিকারী চোখ দুটি লেন্সের সাথে সেটে রাখতে হয় মাহেন্দ্রক্ষনের একটি ক্লিকের জন্য। সেকেন্ডের ও কম সময় পাওয়া যায়। বন বাদাড় আর ঝোপ জঙ্গল চষে বেড়াতে হয় কাংখিত শিকারের জন্য। তার পর প্রাপ্তিটুকু র মাঝেই সব প্রশান্তি। ভূলে যাওয়া সব কস্ট। সাপের ছবি তুলতে সাপের চেয়েও নি:সব্দে চলতে হয় রাতের আধারে। ওত পেতে থাকতে হয় নিঝুম রাতের শেষ প্রহরে। গন্ধ শুকে বুঝতে হয় সাপের আগমন। এক ভয়ঙ্কর পেশা আর নেশা।
আসলে পাখিরা যেমন চন্চল ওদের ছবি শিকারীদের ও ততধিক চন্চল হতে হয়। ওয়াইল্ড লাইফের যেসব সুন্দর ছবি দেখে আমরা পরিতৃপ্ত হই সেটি স্থিরচিত্রে ধারন করতে কতটা শ্রম দিতে হয় তা সবার অজানা অধ্যায়্।
ছবির প্রয়োজনে টোঙ্গুয়ার হাওড়,সাতছড়ি ফরেস্ট কিংবা পদ্মার চরে ১৫/২০ মাইল হেটে চলা।৮/১০ কেজি ওজনের লেন্স আর ক্যমেরা বয়ে নিয়ে সকাল সন্ধ্যা পাখির মত উড়ে বেড়ানো আর যাই হোক এক কঠিন কর্ম। নেশা সব কস্টকে ভূলিয়ে দিতে পারে নুরুন্নাহার নাফিসা সেটির জলজ্যান্ত উদাহরন।
গুটিয়ে রাখা প্রচারবিমূখ এই ফটো শিকারী এরই মধ্যে পেয়েছেন একাধিক এ্যওয়ার্ড আর সম্মাননা। তাকে নিয়ে লেখা হচ্ছে নানা ফিচার। ব্যস্ত সময়ের মধ্যেও তিনি সাড়া দিচ্ছেন টেলিভিশনের সাক্ষাৎকার কিংবা আড্ডায়। কারিয়ার নিয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি এখানে আরো অনেক ভালো কিছু করার বাকী আছে। সে পর্যন্ত কাজ করে যাওয়া দরকার।