নাজমীন মর্তুজার “আগুন দিয়ে লেখা”

নাজমীন মর্তুজা

জানতে চাও কি করে সাজি পদ্যের মতো ! আসলে আমাকে সাজায় এলিয়ট , পাবলো নেরুদা রুশ সিংহলী, কিংবা আরবীয় কবি রা । আমার মুখোশ্রীতে ,নৃতত্ত্ব ,ভূতত্ত্ব , গণিত মননের বহু বিশ্ময়বোধক। আমার সাজবার জ্যামিতি মেপে মেপে চোখ থেকে ঠোঁট তারপর হাসি , গালের টোল , সবকিছু নিজ প্রতিভায় আঁকি । তারপর রাজশাহী সিল্কের মত ঝলক দিয়ে উঠি চোখ প্রাণে উচ্ছল ।

আমি সংযত হই উপবেশনের ভঙ্গিতে , কি করে ভূরুর মেধার বাঁকা করতে হয় চোখের ভঙ্গি তা বুঝি বেশ । সুমসাম করে আঁকি ঠোঁটের লিপিষ্টিক , বাড়তি ওজনে হালুপুলু হয়ে ঝুঁকে যাই না সোনায় কিংবা রত্নে । বুঝলে তো কেন প্রাণ আনচান বুক আনচান করে । আমি তো সেই ঝির ঝির পাতা তিরতির গাছের আদুরে মেয়ে ।আমার প্রিয় বন্ধু প্রিয়শত্রু …জানো কি ? দিনের সমস্ত আলো আটকে আছে আমার মুখে , মেঘ ভেসে যায় চোখ ছুঁয়ে , বিদ্যুৎ ডাকে মনের ভেতরে ।

চোখে উদয়ের ডানা ভাসিয়ে দেখতে পাবে চাঁদের বিস্তার । নিজেই নিজেকে আলিঙ্গন করবো বলে নিজের অক্ষরেখায় সেজে থাকি । যদি চিৎকার করে কাঁদি তবে ভেসে যাওয়া কাজলে লিখে রাখি দু লাইন ভুলভাল ছন্দের কবিতা , আবৃত্তি করি আপন ভূবনের মঞ্চে। সুযোগ পেলে আমার রোজনামচায় মুখ গুঁজে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠি এক বিকেলে । তাই বলছি শোন ভালোবাসবার মানুষগুলোকেও মনে মনে ভালো বেসে যেতে হয় , যেমন করে নিজেকে ভালোবাসা যায় জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত। কথাটা আগুন দিয়ে লিখে গেলাম ।

পছন্দের আরো পোস্ট