পাবিপ্রবিতে জেলহত্যা দিবস পালন

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত সহচর এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী শহীদ জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ,ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।

১৯৭৫ সালের আজকের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে তাঁদের হত্যা করা হয়। জেলহত্যা দিবসের সকালে ১১.৩০টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ স্মারক ম্যুরাল ‘জনক জ্যোতির্ময়’ এ বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে।

এ সময় আরও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রশাসন, প্রক্টর অফিস, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, রসায়ন পরিবার, পদার্থবিজ্ঞান সমিতি, আইসিই অ্যাসোসিয়েশন, গণিত বিভাগ, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ইংরেজি বিভাগ, ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগ, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তর, কর্মচারীবৃন্দ, পাবিপ্রবি শাখা ছাত্রীলগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

Post MIddle

জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে উপাচার্য ড. এম রোস্তম আলী এক বাণীতে বলেন, জাতীয় চার নেতা হত্যার উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ও চেতনা নির্মূল করা। বঙ্গবন্ধু হত্যার খুনীরাই এই নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটায়। শেষ পর্যন্ত ঘাতকরা পরাজিত হয়েছে।

ঘাতকদের ষড়যন্ত্র বাঙালি প্রতিহত করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হবে। জাতির পিতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি উপাচার্য মহোদয় আহবান জানান। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাঁর নির্দেশিত পথে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে জাতীয় চার নেতা যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন, সেই অবদান কোনোদিন ভোলার নয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যানগণ, প্রক্টর, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ্।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের কালোব্যাচ ধারণ, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

পছন্দের আরো পোস্ট