ড্যাফোডিলে ইউথ সামিট অন এজিং

নিজস্ব প্রতিবেদক।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সোশ্যাল বিজনেস স্টুডেন্টস ফোরাম ও এইজিং সাপোর্ট ফোরামের যৌথ আয়োজনে “ডিজিটাল সমতা সব বয়সের প্রাপ্যতা” শীর্ষক ইউথ সামিট অন এজিং-২০২১ আজ শেষ হয়েছে।

১৩-২৫ অক্টোবর আয়োজিত এ সামিটে ছিল কর্মশালা, ‘প্রযুক্তিতে প্রবীণ’ প্রবীনের সাথে কিছু সময়, উদ্ভাবন অ্যাপ, শর্টফিল্ম ও ক্যাম্পেইন। সামিটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রবীণরা অংশ গ্রহণ করেন।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একাত্তর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডেও চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান ও শরীয়তপুর ডেভেলাপমেন্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক রাবেয়া বেগম। স্যার উইলিয়াম বেভারেজ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মেজর জেনারেল (অবঃ) জীবন কানাই দাশ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় ও উদ্যোক্তাবৃত্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল, এজিং সাপোর্ট ফোরামের সভাপতি হাসান আলী।

Post MIddle

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিকের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মঞ্জুয়ারা বেগম, এসবিএসএফের সহ-সভাপতি মো. রকিবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান খান এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাজী মেসবাহ-উর-রহমান। অনুষ্ঠানে প্রবীণদের নিয়ে লেখা এজিং সাপোর্ট ফোরামের সভাপতি হাসান আলীর ”প্রবীণের গল্প” বইটির মোড়ক উম্মোচন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, প্রবীণদের সবচেয়ে বড় সমস্যা ’নিঃসঙ্গতা’। এই নিঃসঙ্গতা থেকে তাদের মুক্তি দিতে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে, আগামী দিনে প্রবীণদের জীবনকে তরুণরাই রাঙিয়ে দিতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তথ্যপ্রযুক্তির ক্রমবিকাশের সাথে সাথে আমাদের সমাজে আর্থিক বিভাজনের পাশাপাশি ডিজিটাল বিভাজন তৈরী হচ্ছে। ২০৫০ সালে আমাদের দেশে প্রবীণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে সে প্রক্ষাপটে ও সামাজিক পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে এখন থেকেই তরুণ প্রজন্মকে প্রস্তুতি গ্রহণ করার আহবান জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. মোঃ সবুর খান বলেন, প্রবীনরা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চান, তাদেরকে সে সুযোগ তৈরী করে দিতে হবেএবং তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সমাজের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। সমাজে প্রবীনদের জন্য ওল্ড হোম এর পাশাপাশি শিমুদেও জন্য ডে কেয়ার স্থাপনের পরামর্শ দেন তিনি যাতে শিশুদের মাঝে চ্যালেঞ্জিং মেন্টালিটি গড়ে উঠে। প্রবীণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বয়স একটি সংখ্যা মাত্র। এখনো আপনাদের অনেক কিছু উপভোগ করার আছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তাসমিমা হোসেন বলেন, করোনাকালীন সময়ে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা অনেককেই সময় কাটাতে সাহায্য করেছে। আমাদের সবার মনে-প্রাণে-কমিটমেন্টে এক থাকা উচিত। এক প্রজন্ম এগিয়ে গেলেই তাদের হাত ধরে আরেক প্রজন্ম এগিয়ে চলে এবং এটি একটি অব্যাহত ধারা।

পছন্দের আরো পোস্ট