সীডস্টার ইনোভেশন পুরস্কার পেলেন ড. খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন

সিমেড হেলথ একটি স্মার্ট স্বাস্থ্য মনিটরিং এবং প্রিভেনটিভ স্টার্টআপ যেটি এবার সুইজারল্যান্ডে টিএজি হিউয়ার কর্তৃক “সীডস্টার ইনোভেশন পুরস্কার-২০১৮” অর্জন করেছে। বাংলাদেশ থেকে প্রথম বারের মত সিমেড হেলথ স্টার্টআপ সীডস্টার পুরুস্কার অর্জন করেছে। সিমেড হেলথ ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এডভান্স ইন্টেলিজেন্ট মাল্টিডিসিপ্লিনারি সিস্টেম ল্যাব (এইমস ল্যাব) এর পরিচালক ড. খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুনের স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি গবেষনামূলক ফলাফল।

এটি এখন একাডেমিয়া থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে রিসার্চ কমার্শিয়ালাইজেশনের উজ্জল দৃষ্টান্ত। সিমেড হেলথ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ড. খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন ‘এটি সিমেড এবং বাংলাদেশ উভয়ের জন্য একটি গৌরবজনক মুহূর্ত’। ইনোভেশন পুরস্কার হিসাবে সিমেড হেলথকে ৫০,০০০.০০ (পঞ্চাশ হাজার) ডলার মূলধন বিনিয়োগ প্রদান করা হয়।

Post MIddle

সীডস্টার হল একটি সুইস গ্রুপ যেটি সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত যার উদ্দেশ্য প্রযুক্তি এবং উদ্যোক্তার মাধ্যমে মানুষের জীবন ব্যবস্থা উন্নত করা। সীডস্টার ওয়াল্ড বিশ্বের বৃহত্তম সীড-স্ট্যাজ স্টার্টআপ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ৬৬টি দেশের শীর্ষ প্রতিভা অর্জন কারীদেরকে পরামর্শদান, নেটওয়াকিং এবং তহবিল ইত্যাদি সেবা প্রদান করে থাকে। এ বছরে সীডস্টার ওয়াল্ড সামিটে ৬৬ টি দেশ থেকে ৬৬ উদ্ভাবনী স্টার্টআপস অংশ গ্রহণ করে। এবার আঞ্চলিকভাবে বিজয়ীদের নিয়ে গ্লোবাল সামিটটি সুইজারল্যান্ডের লাউসনে সুইস টেক কনভেনশন সেন্টারে ৯ -১২ এপ্রিল ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়।

১২টি দেশের ১২জন শীর্ষ উদ্যোক্তা এবং ৫ দেশের শীর্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক এক্সিকিউটিভ প্যানেলের মাধ্যমে গ্লোবাল উইনার, টপ ইনোভেশন, টপ ফিনটেক, আফ্রিকান হেলথ টেক, আফ্রিকান এনার্জি, নারী উদ্যোক্তা, সর্বাধিক সময় সংরক্ষণ, এবং টপ এডুটেক স্টার্টআপস- এই ৮ বিষয়ের উপর এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। সিমেড শীর্ষ ১২ টি স্টার্টআপস এর মধ্য থেকে শীর্ষ ইনোভেশন পুরস্কার ২০১৮ অর্জন করে।

সিমেড এর স্বাস্থ্য মনিটরিং ব্যবস্থাটি স্মার্ট ফোনের সাথে সম্পৃক্ত, সিমেড এর স্মার্ট মেডিকেল ডিভাইস সমূহ ব্যাবহার করে মানবদেহের বিভিন্ন গুরুত্তপূর্ণ লক্ষণ সমূহের পরিমাপ প্রদর্শন করে ও প্রাপ্ত তথ্যসমূহ সুরক্ষিত ক্লাউড সার্ভারে সংরক্ষণ করে থাকে। ব্যবহারকারীরা তাদের স্বাস্থ্যের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে তাৎক্ষনিক সংকেত জানতে পারবেন অত্যাধুনিক এই সিস্টেমের মাধ্যমে। সিমেড এর রেকর্ডকৃত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্যাবলি ব্যবহারের মাধ্যমে ডাক্তারগণ রোগ নির্ণয়ের সময় কমিয়ে এনে উন্নত চিকিৎসা প্রদানে সমর্থ হন।

পছন্দের আরো পোস্ট