ভাঙ্গনের মুখে বিদ্যালয়ের একমাত্র পাণীয় জলের পুকুর

১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌর সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী এসিলাহা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের একমাত্র পাণীয় জলের পুকুরটি এখন পানগুছী নদীর ভাঙ্গনের মুখে। যে কোন সময় প্রমত্তা পানগুছির ভাঙ্গনে শিকার হতে পরে বিদ্যালয়ের একমাত্র পুকুরটি। তাহলে বিদ্যালয়ের সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থী সহ এলাকার শত শত পাণীয় জলের সংকটের সম্মুখীন হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ৯৩ বছরের পুরানো এ বিদ্যাপিঠের একমাত্র পুকুটি পার্শ্ববর্তী পানগুছি নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। পুকুর থেকে ২০-৩০ ফুট কাছে ধেয়ে এসেছে প্রমত্তা পানগুছি। এ বিদ্যালয়ের রয়েছে সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থী সহ প্রায় অর্ধশত শিক্ষক-শিক্ষিকা। এসব শিক্ষার্থী সহ এলাকার শত শত লোক এ পুকুরের পানি পান করে। পানগুছি নদীর ভাঙ্গন থেকে মোরেলগঞ্জ বন্দর রক্ষার জন্য পাইলিং করা হলেও বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী মাত্র ১শ’ থেকে দেড় শ’ ফুট জায়গা এখনো পাইলিংয়ের আওতায় আনা হয়নি।

Post MIddle

পুকুরটি ভাঙ্গনের কবলে পড়লে বিদ্যালয়টি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। পুকুর ভাঙ্গনের সাথে সাথে বিদ্যালয়ের পূর্ব পার্শ্বের অবকাঠামো ভাঙ্গনের কবলে পড়বে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আঃ মালেক হাওলাদার বলেন, একদিকে বিদ্যালয়টি পানগুছি নদীর ভাঙ্গনের মুখে। অপরদিকে পুকুরের পাড়ে একটি পিএসএফ দীর্ঘ ৩/৪ মাস যাবৎ অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এনিয়ে খুবই দুঃচিন্তায় আছেন তিনি। কখন কি অঘটন ঘটে যায়।

পিএসএফ নষ্টের কারনে শিক্ষার্থী ও এলাকার শত শত লোক পুকুরের পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছে। বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম হাওলাদার পিএসএফটি চালুর জন্য উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরকে জানালেও কোন কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে নিজস্ব উদ্দ্যোগে পিএএফ সংস্কারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে প্রধান শিক্ষক জানান।

অনতিবিলম্বে পানগুছি নদীর ভাঙ্গন থেকে পুকুর ও বিদ্যালয় রক্ষা করা একান্ত প্রয়োজন। না হলে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে এলাকাবাসি জানায় ।##

পছন্দের আরো পোস্ট