ঢাবি ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৭ উদ্যাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ভারতের কলকাতাস্থ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে গতকাল (২৯ মার্চ ২০১৭) বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সম্মেলন কক্ষে দু’দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র অধ্যাপক মহুয়া মুখার্জী, আয়োজনের সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. মহসীনা আক্তার খানম (লীনা তাপসী), রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সমন্বয়ক অধ্যাপক ইন্দ্রানী ঘোষসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রথম সচিব (শিক্ষা) জিষ্ণু মুখার্জী, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক দেবাশীষ মন্ডল, ড. কঙ্কনা মিত্র, শ্রী বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, অধ্যাপক চিত্ত মন্ডল, পার্থ মুখোপাধ্যায়, তৃষিত চৌধুরী, দেবজ্যোতি চন্দ্র, অমর্ত সাহা এবং হৃত্বিক ব্যানার্জী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমারেখা থাকলেও মানসিকভাবে এবং ঐতিহ্যগতভাবে আমরা এক। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করে মিত্রবাহিনীর যেসব সদস্য সে সময়ে শহীদ হয়েছেন উপাচার্য তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

Post MIddle

উপাচার্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় ১কোটি শরনার্থীকে আশ্রয় দিয়ে ভারত যে ভ্রাতৃত্ব দেখিয়েছে তার জন্য শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করতে হয়। উপাচার্য আরও বলেন, একযোগে দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় যত অনুষ্ঠান করবে তার ফলে দুই দেশের মানুষকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসবে। এর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য ও শিল্পকলায় সর্বোপরি সাংস্কৃতিক বিনিময়ের দ্বারা দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেও সম্পর্ক আরও গভীর ও উন্নত হবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ ২০১৭ মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সম্মেলন কক্ষে দু’দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।

পছন্দের আরো পোস্ট