![](https://lekhapora24.net/wp-content/uploads/2017/03/image-25434-750x430.jpg)
স্বাধীনতা ও একটি ধংস্বস্তুপের গড়ে উঠা
আজ স্বাধীনতা দিবস; আমাদের শিকল ভাঙার দিন।এইদিনেই আমরা বিশ্বের দরবারে স্বাধীন আর সার্বভৌম জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলাম। আমরা যদি আজকের বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস পর্যালোচনা করতে চাই তাহলে ভাষা আন্দলন, একাত্তর আর শেখ মুজিবুর রহমান এই তিনটি বিষয় কে কোনো ভাবেই এড়িয়ে যেতে পারবোনা। সাতচল্লিশ এর দেশবিভাগ এ অনেক টা জোর করেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থান (বর্তমান বাংলাদেশ) পশ্চিম পাকিস্থানের (বর্তমান পাকিস্থান) সাথে জুড়ে দেয়া হয়। পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্থানের অখন্ডতা প্রথম থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো। দুটো প্রায় সম্পূর্ণ আলাদা সংস্কৃতি আর চিন্তাধারনার জাতি, বৈরি প্রতিবেশী সব মিলিয়ে পাকিস্থানের অখন্ডতা আর দুটো অঞ্চলের মানুষ এবং শাসক দের কাছে গ্রহণ যোগ্য সংবিধান তৈরি ও তা বাস্তবায়ন ছিলো অনেক টা দিবাস্বপ্নইই ছিলো। তার উপর পশ্চিম পাকিস্থানের শাসকদের ও প্রশাসনের দুর্নীতি, পূর্ব পাকিস্থানিদের উপর নানা বিধ অত্যাচার একপেশে শাসনব্যবস্থা এসব কিছুই একটু একটু করে বাঙালীদের মনে স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্বের স্থিরচিত্রটি ধীরে ধীরে জন্ম নিতে থাকে।
![Post MIddle](https://lekhapora24.net/wp-content/uploads/2022/03/920X80.gif)
১৯৫২এর ভাষা আন্দোলন, ভাষার দাবিতে তরুণদের আত্মাহুতি, ১৯৭০এর নির্বাচন, ছয় দফা দাবি নাকচ এইসব খন্ড খন্ড ঘটনা প্রবাহ একটি অনিবার্য পরিনতির দিকে নিয়ে যায়।আর ২৫শে মার্চের ভয়ংকর,নৃশংস আর ঘৃণিত হত্যাকান্ড “অপারেশন সার্চলাইট” ওই অনিবার্য পরিনরিতে শেষ পেরেক টি ঠুকে দেয়। ২৫ মার্চ মধ্যরাত্রেই তৎকালীন আওয়ামিলীগ নেতা পরবর্তিকালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্র শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হোন। কিন্তু তিনি তার আগেই ২৫শে মার্চ রাত ১২টার পর অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে সাক্ষর করেন। ২৬ মার্চ পাকিস্থানি সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার মেজর জিয়াউর রহমান আনুষ্ঠানিক ভাবে শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা দেন এবং আপামর জনগনকে যুদ্ধে অংশগ্রহণের আহবান জানান। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে দেশে সর্বস্তরের মানুষ তাদের সর্বস্ব নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে।দীর্ঘ নয়মাস চলে এ গৃহযুদ্ধ।ত্রিশলক্ষ মানুষের প্রাণ,দু লক্ষ নারীর সম্ভ্রম আর ১কোটী বাস্তুহারা মানুষের হাহাকারের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।সেই থেকে প্রতি বছর ২৬শে মার্চ বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদা আর ভাবমূর্তির সাথে পালন করা হয়।