বাকৃবিতে কৃষি বিষয়ে বৈজ্ঞানিক সম্মেলন শুরু

সুরক্ষা কৃষিব্যবস্থা গ্রহণকরে এই দেশেরক্ষুদ্র কৃষকগণ হেক্টরপ্রতি বায়ান্ন হাজার টাকা অতিরিক্ত আয় করতে পারবে । বাংলাদেশে সুরক্ষা কৃষি ব্যবস্থাপনা জলবায়ু পরিবর্তণ ও পরিবেশগত কারনে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়া, শ্রমিক স্বল্পতা ও উৎপাদন খরচসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারবে বলে বিজ্ঞানীরা জানান । গতকাল (১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭) মঙ্গলবার ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন ভবনে অনুষ্ঠিত এশিয়ার প্রান্তিক চাষীদের জন্য ‘সুরক্ষা কৃষি পদ্ধতির উদ্ভাবন ও প্রয়োগ’ বিষয়ে এক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সম্মেলন ব্যবস্থাপনা কমিটির স্থানীয় সভাপতি ও বাকৃবিএর কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান এর সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ জসিমউদ্দিন খান। সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সম্মেলন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অষ্ট্রেলিয়ার মারডক ভার্সিটির প্রফেসর ড. রিচার্ড ডব্লিও বেল। এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বহুমখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী, এসিআইএআর এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. ইভান খ্রিস্টান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. ভাগ্যরানী বনীক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, অস্ট্রেলিয়া হাই কমিশনের অর্থনীতিবিদ প্রিয়াংকা চৌধুরী ।

Post MIddle

সম্মেলন বক্তাগণ জানান, সংরক্ষণশীল কৃষি প্রযুক্তি বিষয়ে প্রান্তিক চাষীদের সংরক্ষণশীল কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার, প্রায়োগিক সমস্যা এবং ক্ষুদে চাষী, গবেষক ও বেসরকারী সংস্থার সমন্বয়ে সমস্যা সমাধান বিষয়ে জানা যাবে বিধায় এ সম্মেলনটি অত্যন্ত সময়োপযোগী। অংশগ্রহনকারী বিজ্ঞানীগন এশিয়ার ক্ষুদে চাষীগনের জন্য সংরক্ষণশীল কৃষি প্রযুক্তির অগ্রগতি ও অভিজ্ঞতাও বিনিময় হবে। সারা বিশ্বে বর্তমানে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ১৬১ মিলিয়ন হেক্টও জমিতে সুরক্ষা কৃষিপদ্ধতিতে চাষাবাদ হয় কিন্তু এশিয়া ও আফ্রিকায় এ পদ্ধতির ব্যবহার নিতান্তই কম। বিগত ২০ বছর ধওে সুরক্ষা কৃষিব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ চলছে। ২০১৬ সাল পর্যন্ত এদেশে মাত্র ১৫০০ হেক্টর জমি এ পদ্ধতির আওতায় এসেছে। সুরক্ষা কৃষি প্রযুক্তি গ্রহনের সীমাবদ্ধতা দূরীভূত কওে কিভাবে পরিবেশবান্ধব এ প্রযুক্তির ব্যাপকপ্রসার ঘটানো যায় তার রূপরেখা নির্ধারনে কৃষক, গবেষক ও নীতিনির্ধারকদের একত্রিতকরাই এ সম্মেলনের প্রধান উদ্দেশ্য।

সম্মেলন স্থানীয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেন যে, এই কনফারেন্সে প্রাইভেট ও পাবলিক সেক্টর পার্টনারশীপ উন্নয়নের মাধ্যমে সুরক্ষা কৃষিকে একটি সুবিধাজনক পর্যায়ে আনার ব্যাপারে আলোচনা হবে। এছাড়া সুরক্ষা কৃষি প্রযুক্তির ব্যাপক গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধিও জন্য যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক, কৃষকগ্রুপ ও গবেয়কদের মধ্যে একটি শক্তিশালী সেতুবন্ধন তৈরি করার প্রয়াস গ্রহন করা হবে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে গবেষক ও নীতিনির্ধারকগণ কৃষকদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে সুরক্ষা কৃষির একটি লাগসই পরিকল্পনা তৈরি এবং তার ব্যাপক প্রসার ও বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করবে।

উল্লেখ্য ১৪ ও ১৫ ফেব্রুযারি ২ দিন ব্যাপী এ সম্মেলনে ২৮০ জন্য বিজ্ঞানী এ কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন এবং এর আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, আইডিই-বাংলাদেশ, মারডক বিশ্ববিদ্যালয়, এফএও, এসিআইএআর, বিএআরসি, বিএআরআই এবং ব্রি, সিমিট, ইরি, বরেন্দ্র বহুমখীউন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও হক কর্পোরেশন ।

পছন্দের আরো পোস্ট